স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পলের অবদান ভোলার নয় : ঢাদসিক মেয়র

রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক : ৯০ এর দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সাইদুল ইসলাম খান পলের অবদান ভোলার নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


বিজ্ঞাপন

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এলিফেন্ট রোডের স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রয়াত সাইদুল ইসলাম খান পলের নামাজে জানাজা পূর্ববর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “সাইদুল আলম খান পল বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দুঃসময়ে যে অবদান রেখেছেন, বিশেষত ৯০ এর দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন যে অবদান রেখেছেন, সেই অবদান ভোলার নয়। তিনি আমাদের মাঝে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”

এ সময় জানাজায় উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “সাইদুল ইসলাম খান পল অনেক উদার ও বড় মনের মানুষ ছিলেন। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি কোন সময় কারও মনে কষ্ট দিতেন না এবং খুবই সাদামাটাভাবে জীবনযাপন করেছেন। তারপরও কেউ যদি তাঁর ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আমি তাঁর পরিবারের তরফ হতে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় তাঁর ২০০৮ সালের নির্বাচনকালীন স্মতিচারণ করে বলেন, “২০০৮ এর নির্বাচনের সময় এই এলাকায় প্রথম যখন আসি তখন পল ভাই ও এনায়েত ভাই (যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত এনায়েত কবির চঞ্চল) যেভাবে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলেন, আমি চেষ্টা করেছি সবসময় তাঁদের সাথে তাঁদের পাশে থাকতে। সেদিন পল ভাই তাঁর ভবনে নির্বাচনী কার্যক্রমের সমস্ত আয়োজন করেছিলেন। আজ তা স্মৃতির পাতায় নাড়া দিচ্ছে। আমি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করি।”

জানাজা পরবর্তী ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

প্রয়াত সাইদুল ইসলাম খান পল ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সমস্যাসহ শারীরিক নানা জটিলটায় ভুগছিলেন। গতকাল দুপুরে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করলে তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (২৩ অগাস্ট) ভোর ৬টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।

প্রয়াত পল দুই ছেলে সন্তানের জনক। তাঁকে পৈত্রিক নিবাস সিরাজগঞ্জের রহমতগঞ্জ কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রব্বানীর চিনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।