নিজস্ব প্রতিবেদক : তেজগাঁও থানার তেজকুনীপাড়া, কাঁঠালতলা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল্লাহর বাড়ী দখলের পাঁয়তারা করছে ভূমিদস্যু কাউন্সিলর শামীমা রহমান। মৃত আব্দুল্লাহর মেয়ে নাজনীন আক্তার ও ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর সেলিম হাসান (সাবেক জিএস ঢাকা কলেজ) আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার পিতা ৫০ বৎসর পূর্বে সাফ কবলা সূত্রে এই বাড়িটি ক্রয় করেন। কিন্তু চাকুরীর কারণে সেখানে তারা না থাকায় বাসাটি ভাড়া দিয়ে দেন। তেজগাঁও এলাকার কাউন্সিলর শামীমা রহমান এই বাসার ভাড়াটিয়াদের উপর জোর পূর্বক ভাড়ার টাকা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪/০৪/২০১৯ইং সকাল ৯.৩০ মিনিটে আব্দুল্লাহর স্ত্রী ও মেয়ে নাজনীন আক্তার বাদী হয়ে তেজগাঁও থানার শামীমার বিরুদ্ধে একটি ডায়েরী দায়ের করেন। বিবাদীগণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীমা রহমান (৫০), স্বামী- আব্দুর রহমান ও তার সহযোগী নারী সন্ত্রাসী সুমী (৩৫), সীমা (২৪), নূরুন্নাহার অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন তাদের অনর্থক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি-ধামকি দেয়। বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহর মেয়ে বলেন, আমি আমার পৈত্রিক বাড়ীতে যাতে না ঢুকি এবং যদি বাড়ীতে আসি ভূমিদস্যূ শামীমা আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এই জন্য একটি সাধারণ ডায়েরী করি। জিডি নং-১৪২৩, তারিখ-২৬/০৫/২০১৯। গত ০৫/০৭/২০১৯ তারিখে উর্মি নামক এক মহিলা ভাড়াটিয়াদের কাছে চাঁদা চাইতে আসে। না দিলে তাদের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। গত শুক্রবার রাত ১২.৩০ টায় শামীমা বাসা ভাড়ার টাকা জোড় পূর্বক নিতে আসে। টাকা না দিলে বাড়িতে তালা মারবে বলে হুমকি দেয়। ১৫/০৭/২০১৯ইং এর ভিতরে ভাড়াটিয়া ইব্রাহিম মোল্লা যদি টাকা না দেয়, তাহলে তাদের ২ লাখ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করে। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহর স্ত্রী আছিয়া খাতুন বলেন, তেজগাঁও থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ তাদের ধরতে আসলে তারা পালিয়ে থাকে। আবার পুলিশ চলে গেলে তারা হাজির হয়। আমি আমার বাসায় পুলিশের সাহায্য ছাড়া আসতে পারি না। আছিয়া খাতুন আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হিসেবে আমাকে ভূমিদস্যু ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীমা ও তার গংদের হাত থেকে রক্ষা করতে যেন যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেন। আমি যাতে আমার বাসায় ভাল করে আসতে পারি।