যমুনা সার কারখানার দূষিত বর্জ্যে পরিবেশ বিপর্যয়

সারাদেশ

দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ


বিজ্ঞাপন

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ী’র তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা,অদক্ষতা ও অবহেলায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সার কারখানা এলাকায় বসবাসকারী ও চলাচলরত লক্ষাধিক মানুষের। যমুনা সার কারখানার নির্গত অ্যামোনিয়া ও তরল বর্জ্যের দূষণের কবল থেকে রক্ষায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের দাবী বাস্তবায়নে গণদাবীসহ ফুসে উঠেছেন সারকারখানার চর্তুপার্শ্বের তারাকান্দি,চরপাড়া,কান্দারপাড়া,পলিশা, বৈশের চরের গ্রামবাসী। স্থানীয়, ভুক্তভোগী ও সরেজমিনে জানা যায়,জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার দিগপাইত – সরিষাবাড়ী টু তারাকান্দি-ভূয়াপুর ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ সড়কের যমুনা সার কারখানার পূর্ব পার্শ্বের বাউন্ডারী ওয়ালের পার্শ্বে কারখানার ড্রেনের পাশে সদ্য নির্মিত কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পাকা রাস্তা নির্মিত হয়েছে। ওই সড়কটির পার্শ্বে যমুনা সারকারখানা থেকে নির্গত দূষিত কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি চুয়ে চুয়ে ড্রেনে এসে সঞ্চিত হচ্ছে।ওই সঞ্চিত দূষিত কেমিক্যাল যুক্ত পানি কোথাও কোন নালা দিয়ে নিষ্কাশিত না হওয়ায় ড্রেনের পানি উপচে পড়ে সড়ক ও জনপথের অর্থায়নে নির্মিত সড়কের উপর দিয়ে অনবরত প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে সড়কটির উপর দিয়ে সব সময় ড্রেনের দূষিত পানি গড়িয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন যাত্রীবাহী যানবাহন ও সার পরিবহনের যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তাটির স্থায়িত্ব কমে গর্তের সৃষ্টি হয়ে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। অপরদিকে অটোভ্যান, ভ্যান গাড়ী,সিএনজিতে চলাচলরত জনসাধারণের শরীরে এবং পোশাকে দূষিত পানি ছিটকে কাপড়-চোপড় নষ্ট সহ চর্ম রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে লাখো মানুষ বসবাস ও প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন।তাই স্থানীয় ও চলাচলারত জনসাধারণ যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, অবহেলা, অদক্ষতা ও রাস্তার পার্শ্বের ড্রেনের পয় – নিষ্কাশন ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। এ ছাড়াও সড়কটির উপর দিয়ে সারকারখানার কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি প্রবাহ বন্ধ না করলে সড়কটি ক্ষতি গ্রস্হ হয়ে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে।

যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষাক্ত গ্যাস ও তরল বর্জ্য অপসারণসহ স্হায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থদের পুকুরের মাছ নিধন, ফলদ বৃক্ষ এবং ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবী জানান স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলী।এ ছাড়াও পোগলদিঘা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চরপাড়া গ্রামের ছাদেক আলীর বাড়ীর উত্তর পশ্চিম পার্শ্বে নির্মিত কালভার্ট দিয়ে প্রায় ১২০ একর জমির পানি গত ২৫ বছর যাবৎ নির্গত হয়ে আসলেও সম্প্রতি অজ্ঞাত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।যার ফলে পোগলদিঘা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যমুনা সারকারখানার দূষিত পানির জলাবদ্ধতায় শতাধিক পরিবার সহ গবাদী পশু নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন থেকে উত্তরণে কালভার্টের মুখ খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এব্যাপারে যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুদীপ মজুমদারের মুঠোফোনে কয়েক বার ফোন করলে তার ফোনটি ব্যস্ত পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।