বৈধ লাইসেন্সের আড়ালে চলছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল যুক্ত ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ তৈরির বিকিকিনি

অপরাধ এইমাত্র সারাদেশ স্বাস্থ্য

র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ

 

 

আমিনুর রহমান বাদশা : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েকটি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবৈধ, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত ও বাজার জাতের অভিযোগ দীর্ঘদিনের । বিতর্কিত এই সব ইউনানি আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবত ওষুধের ব্যানারে কালার ফ্লেভার ও কেমিকেল ব্যবহার পূর্বক ওষুধ প্রস্তুত পূর্বক বাজারজাত করছে ফলে এই সব ওষুধ সেবনে জনগণের কোন উপকার হচ্ছে না। উপোরন্ত জনগণ বিরুপ প্রতিক্রায়ার শিকার হয়ে নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছে।
এই অভিযোগ ভুক্তভোগি মহলের একাধিক সূত্রের। যে সকল ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবৈধ, অন-অনুমোদিত, ভেজাল ও নিম্ন মানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজার জাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে, এর মধ্যে শিরিন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী), গ্রেন প্লাস ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী), সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী), অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রীজ (আয়ু), জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু), দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু),এবং এসএস ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) অন্যতম। শিরিন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) শিবচর, মাদারীপুরঃ ভেজাল ও নিম্ন মানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এমন অভিযোগ বহুদিনের। সুত্র মতে শিরিন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) মালিক রেজাউর করিমের নির্দেশে কোম্পানীটি সস্তা ও মিডফোডের খোলা বাজার থেকে কেমিকেল ক্রয় করে নিম্নমানের ভেজাল ঔষধ উৎপাদন করছে, এছাড়া ও কোম্পানীটির বিভিন্ন ঔষধের মোড়কে ফুলও ফলের ছবি ব্যবহার করে পন্য উৎপাদন করছে। সেই সাথে অন্য কোম্পানীর লেভেল কাটুন নকল করে অতি মুনাফার আশায় হুবহু দেখতে পন্য উৎপাদন করছে।গ্রেন প্লাস ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) হেমায়েতপুর, পাবনাঃ উক্ত কোম্পানী ২ (দুই) টি সিরাপ ডিভিয়া, সিরাপ রিস্টিক ভিটামিন ওষুধে ডেক্সামেথাসন, সিপ্রোহেপ্টাডিন, থিয়ভিট (গাবাদী পশু মোটাতাজা জাতকরণ কেমিকেল) ও ক্যালসিয়াম ক্যার্বনেট ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়াও সিরাপ ই-ক্লিপ, ক্যাপসুল নিসাত-জিতে যৌন উত্ত্বেজক ওষুধ সিলড্রেনাফিন, সাইট্রেট ও ট্রাডালাফিন সাইট্রেট নামক ভায়গ্রার উপাদান ব্যবহার করছে বলে ও ওষুধ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্রের দাবি। জ্বরের ওষুধে প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে ওষুধে এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিওপ্রাজল এবং ব্যথা ও ব্যথানাশক ওষুধে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম বিপি নামক এলোপেথিক ওষুধের কাচা মাল ব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে। সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) বগুড়াঃ সবুজ আমলকী প্লাস ৪৫০মিলিঃ, সবুজ জিনসিন ৪৫০মিঃলিঃ সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে উক্ত সবুজ জিনসিন নামক সিরাপে সিনড্রেনাফিন সাইট্রিয়েট ও ট্রাডালাফিন সাইট্রিয়েট ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে অতি সম্প্রতি ঔষধ প্রশাষন সবুজ জিনসিন সহ আর ও ২টি প্রডাক্ট বাতিল করেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে প্রডাক্ট বাতিল হলেও মিডফোর্ডের পাইকারী বাজার সহ সারা বাংলাদেশে খোলা বাজারে ঔষধ গুলো পাওয়া যাচ্ছে। এব্যাপারে সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস মালিক মোঃ সবুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বগুড়া ওষুধ প্রশাষণ আমার নিয়ন্ত্রনে আমার চাচাতো ভাই আওয়ামিলীগের নেতা এখান থেকে কেউই আমার কিছু করতে পারবে না, তিনি আরও বলেন ঢাকায় ওষুধ প্রশাষনের বড় অফিসারদের তিনি মাসুহারা দিয়ে থাকেন ফলে সেখান থেকেওকিছু হবে না বলেও দাবি করেন। অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাসট্রীজ (আয়ু) কেরানীগঞ্জ, ঢাকাঃ এর কারখানা আবাসিক ভবনে থাকায় এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত বেশ কয়েক বার হানা দেয়। গত বছর র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রীজ (আয়ু) এর কারখানায় নকল ভেজাল বিরোধী এক অভিযান পরিচালনা করে। ভ্রাম্যমান আদালত অনির্বানের কারখানায় গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ নানা রকম অনিয়ম দেখতে পায়, ফলে উক্ত কোম্পানীকে ২৭,০০,০০০/- (সাতাশ লক্ষ) টাকা জরিমানা করে। ঢাকার জুরাইনের দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এবং জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত ওষুধের নামে বাহারী মোড়কে ভয়ংঙ্কর পাশ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওষুধ বাজারজাত করার অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত কোম্পানী ২ (দুই) টি ভিটামিন ওষুধে ডেক্সামেথাসন, সিপ্রোহেপ্টাডিন, থিয়ভিট (গাবাদী পশু মোটা তাজা জাত করণ কেমিকেল) ও ক্যালসিয়াম ক্যার্বনেট ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যৌন উত্তেজক ওষুধ সামগ্রীতে সিলড্রেনাফিন, সাইট্রেট ও ট্রাডালাফিন সাইট্রেট নামক ভায়গ্রার উপাদান ব্যবহার করছে বলে ও ওষুধ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্রের দাবি। জ্বরের ওষুধে প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে ওষুধে এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিওপ্রাজল এবং ব্যথা ও ব্যথানাশক ওষুধে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম বিপি ব্যাবহার করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সচেতন মহল এর মতে এসব বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিতর্কিত ঔষধ সামগ্রীর উতপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ফাইল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও সর্বপোরি সরকারের স্বাস্থ ব্যাবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকার কারনে।বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির মালিকের সাথে কর্মকর্তাদের গোপন সমোঝোতায়ই ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ তৈরি ও বাজারজাত এর মুল মন্ত্র হয়ে দাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিতর্কিত ঔষধ সামগ্রীর বিষয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পরও অধরা থেকে যাচ্ছে এসব বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিতর্কিত ঔষধ। অনেক সময় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির মালিকেরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সামনে নতজানু হয়ে দাড়িয়ে ইনিয়েবিনিয়ে চোখ কয়েসলানী চোখেরজল এনে নিজেদের ধোয়া তুলশী সাজিয়ে উলটো সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার চালিয়ে প্রিয় স্যারের আনুগত্য প্রকাশ করে গোবেচারা সেজে স্যারদের পদধূলি অবগাহন করে বিশেষ প্রিপেইড ব্যাবস্থায় স্যারের সন্তুষ্টি অর্জন করে পুনরায় শুরু করে বিতর্কিত কর্মকান্ড।


বিজ্ঞাপন