পল্লীবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকব

অন্যান্য জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দেশের প্রতিটি দূর্যোগে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুর্গত মানুষের পাশে সাহায্যের হাত নিয়ে দাঁড়াতেন। এক বুক পানিতে নেমেও ত্রাণ বিতরণ করেছেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। আমরা পল্লীবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বন্যা দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে বন্যার্তদের সাহায্যে কর্মসূচি গ্রহণের উদ্দেশে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ৯৯ ভাগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টির প্রতিটি কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জাতীয় পার্টির যৌথ নেতৃত্ব পার্টিকে আরো সুসংহত এবং শক্তিশালী করেছে। জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই এবং কোনো বিশৃঙ্খলা নেই।’
জি এম কাদের আরো বলেন, ‘দেশের প্রতিটি দূর্যোগে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুর্গত মানুষের পাশে সাহায্যের হাত নিয়ে দাঁড়াতেন। এক বুক পানিতে নেমেও ত্রাণ বিতরণ করেছেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। আমরা পল্লীবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বন্যা দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উত্তরসূরি হিসেবে বিপদ-আপদে গণমানুষের পাশে থেকে আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনীতি আরো এগিয়ে নিতে চাই। আমরা কাজের মাধ্যমে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মৃতি সাধারণ মানুষের সামনে জীবন্ত করে রাখব।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ‘বন্যার্তদের সহায়তায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এ ছাড়া চার-পাঁচটি টিম বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবে। বন্যার্তদের পাশে থেকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে গণমানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছেন। আমরা পল্লীবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে গণমানুষের ভালোবাসায় রাজনীতি করতে চাই। এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘দেশের বিশাল এলাকা বন্যা প্লাবিত। আমরা ত্রাণ বিতরণ করে দুর্গত মানুষের পাশে থাকব। পাশাপাশি সরকারের ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করব।’ বন্যাদুর্গত এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মী সাধ্যমত সহায়তা করতে আহ্বানও জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল মান্নান, শেখ সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, সোলায়মান আলম শেঠ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিকদার লোটন, আবদুস সাত্তার মিয়া, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নাজমা আখতার এমপি, সৈয়দ দিদার বখত, এমরান হোসেন মিয়া, উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য- কারি হাবিবুল্লাহ বেলালী, মো. নোমান, মেজর (অব.) আশরাফ উদ্দিন দৌলা, ড. নুরুল আজাহার, ভাইস চেয়ারম্যান- শামসুল আলম মাস্টার, দেওয়ান আলী, আবু বক্কর, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, সরদার শাহজাহান, নিগার সুলতানা রানী, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, জহিরুল আলম রুবেল, আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শেখ আলমগীর হোসেন হোসেন, হাসিবুল ইসলাম জয়, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, অ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, সুলতান আহমেদ সেলিম, সম্পাদকম-লী মো. ইসহাক ভূঁইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, অ্যাডভোকেট বখতিয়ার উদ্দিন, মাতলুব হোসেন লিয়ন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, নির্মল দাস, মো. হেলাল উদ্দিন, এ কে এম আশরাফুজ্জামান খান, নাসির উদ্দিন সরকার, সুলতান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট জুলফিকার হোসেন, খোরশেদ আলম খুশু, আনিস উর রহমান খোকন, অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, শফিউল্লাহ শফি, ইফতেখার আহসান হাসান, ডা. সেলিমা খান, সৈয়দা পারভীন তারেক, মাহামুদুর রহমান মুন্নি, কাজী আবুল খায়ের, হুমায়ুন খান, অ্যাডভোকেট লাকি আখতার, এম এ রাজ্জাক খান, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, সুমন আশরাফ, মঞ্জুরুল হক, মিজানুর রহমান, মাখন সরকার, নিজাম উদ্দিন, ইসারুহুল্লাহ আসিফ, সাব্বির আহমেদ, আহাদ চৌধুরী শাহীন, মো. জামাল, ফয়সল দিদার দীপু।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *