প্রতিবাদ দিয়ে বেকায়দায় স্বরূপকাঠির মাদককারবারীরা

অপরাধ আইন ও আদালত জীবন-যাপন বরিশাল সারাদেশ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : বর্তমান ইয়াং জেনারেশনের সীমাহীন লোভ, সেবনকারীদের বেপরোয়া ভাবসাব পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে। এদিকে মা বাবার চরম উদাসীনতার খেশারাতে মাদক ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া। পাশাপাশি প্রশাসনের বেশকিছু অসৎকর্মকর্তার কারণেও বেপরোয়া মাদক ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে দু-চারজনের মাদক ব্যবসা করার কারণে আরও বেশী বেশী বিস্তার লাভ করছে মাদক। জেলাসহ উপজেলায় মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ হলে ঐ জাতীয় মিডিয়া কর্মীরা প্রতিবাদ দেন মোটা অঙ্কের বিনিময়ে। উদাহরণ স্বরূপ গত সপ্তাহে জেলা প্রতিনিধি মাদক ব্যবসায়ী আটক হয় শেখ মোঃ নাসির। মাদক আইনে মামলা হওয়ার পর নাসিরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিডিয়াকর্মীরা নাসিরের সহযোগীদেরও নাম উল্লেখ করেন। লেখায় একটি ছদ্ম নাম ব্যবহার করেন মজনু দিয়ে। প্রশ্ন হল কে এই মজনু ইয়াবা বিক্রেতা। অথচ মজনুর পক্ষে মাদকচক্র প্রতিবাদ দেয় আংশিক অংশের। কথায় আছে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তাই মজনুর পক্ষে প্রতিবাদ দিয়ে নিউজের সত্যতা আবারও প্রমান হল।যেমন নাসিরের বংশে শেখ লেখা নেই কিন্তু সরকারের সাপোর্ট পাওয়ার জন্য শেখ বংশ লেখা হয়েছে। ঠিক তদরুপ মজনুর আসল নাম পাঠকসহ প্রশাপ্রশাসনের জানাও দরকার! এদিকে নাসিরের মত ফুয়াদ, তাসলিম, সুমন, হাজীরপুলের রবিউল সহ কয়েক শতাধিক মাদক ব্যাবসায়ী রয়েছে। বর্তমানে অন লাইন খ্যাত কিছু মিডিয়া কর্মীরাও মাদক ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়েছে। ক্যামেরা ব্যবহার করে লোক দেখানো কিন্তু করে মাদক ব্যাবসা। অভিযোগ উঠেছে এহেন কথিত সাংবাদিক মোটা অঙ্কের বিনিময়ে কার্ড কিনে নিয়ে এসে করে মাদক ব্যবসা। পিরোজপুর শহরের ভেতরে রয়েছে শতাধিক মাদক ব্যাবসায়ী। পাশাপাশি কাউখালি, মঠবাডীয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর ও নেছারাবাদে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। কেউ ধর্মীয় লেবাসে, কেউ অন লাইন টিভি সাংবাদিকের লেবাসে মাদকাসক্তসহ মাদকব্যবসা করে যাচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, স্বরূপকাঠির চরে সামান্য কাঠব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে মাদক ব্যবসা করে! নার্সারি ব্যবসায়ী আলমের ছেলে শেখ মো. নাসির গ্রেফতার না হলে এলাকায় অনেক কিছুই অজানা থেকে যেত। আর এখানেই চমক তাহলে মজনু কে। কে মজনুর হয়ে প্রতিবাদ দিল আংশিক সংবাদের। মিডিয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের নজরদারি অতিব জরুরী হয়ে পড়ছে আসল মজনু কে। জেলার সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বের হয়ে আসবে কে এই মজনু। নিউজে ছদ্মনাম লেখা হয়েছে পিতা বিহীন। শেখ বংশের মত টাইটেল ব্যবহার করতো নাসির। অপরদিকে ছদ্মনাম মজনুর ও আসল রূপ অচিরেই প্রকাশ পাবে। জেলা ডিবিসহ স্থানীয় প্রশাসনেরও কড়া নজরদারী রয়েছে।
এদিকে নেছারাবাদের ওসি তারিকুল ইসলাম মাদক নিয়ন্ত্রণে ইস্পাত কঠিন লৌহ মানব। মাদক নিয়ন্ত্রণে ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে বর্তমান ওসি। পাশাপাশি ওসির নেতৃত্বে বেশ কিছু এসআই এবং এএসআই সাহসী পদক্ষেপ রাখছেন। এ ব্যাপারে পৌরসভার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ জাতীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আসলেই জেলাসহ আমাদের উপজেলার মাদকে ভাসছে। মাদক ব্যবসা করে টাকার পাহাড় জমাচ্ছে। ছদ্মনাম মজনুর মত লোকগুলো পিছন থেকে কলকাঠী নাড়াচ্ছে। মিডিয়াসহ প্রশাসনকে আরও কঠোর ভূমিকা নিতে হবে আগামী প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার জন্য। সমগ্র বাংলাদেশসহ জেলা ও উপজেলার সকল মা বাবাকে হতে হবে আরও সতর্ক।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *