রাজধানীতে দেশি বিদেশি বিয়ার, মদসহ গ্রেফতার ৪

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক : র‌্যাব-৪ এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা হতে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ অবৈধ দেশি-বিদেশী বিয়ার ও মদসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সমন্বয়ে ঢাকা মহানগরীর শাহবাগ থানাধীন শাহবাগস্থ নবাব হাবীবুল্লাহ রোড (ময়মনসিংহ সড়ক) হোটেল পিকক লিঃ এর চতুর্থ তলা ভবনে গত মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে গতকাল বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৩ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।


বিজ্ঞাপন

হোটেল পিকক লিঃ বার এর কর্মচারীদের বসবাসের চতুর্থ তলার শোয়ার রুমে খাটের নিচে বিশেষ কৌশলে বানানো বক্সে, চতুর্থ তলায় অবৈধ ভাবে বানানো সুরঙ্গ রুম এবং ভবনের নিচে বাইরের পূর্ব পাশে কয়লা রাখার রুমে বিশেষ কৌশলে বানানো সুরঙ্গ রুমে বিপুল পরিমান দেশি-বিদেশী মদ ও বিয়ার অবৈধ ভাবে মজুদ করা হতো।

র‌্যাব এর আভিযানিক টিম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর ডিডি, এডি, পরিদর্শকসহ তাদের আভিযানিক টিম যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর র‌্যাবকে নিশ্চিত করেন যে, উক্ত বারের তৃতীয় তলায় শুধু মাত্র তাদের অনুমোদিত গোডাউন আছে।

এছাড়া অন্যান্য গোডাউন গুলো অবৈধ নিশ্চিত করার পর তাদের সহায়তায় তল্লাশী পরিচালনা করে ৪র্থ তলা সুরঙ্গ রুম ও খাঠের নিচ থেকে ও ভবনের নিচে বাইরের পূর্ব পাশে কয়লা রাখার রুমে বিশেষ ভাবে তৈরী সুরঙ্গ রুম থেকে অবৈধ ভাবে মজুদ করে রাখা কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৪৯৬ ক্যান বিদেশী বিয়ার, ১৪১৬ ক্যান দেশী বিয়ার, ১১৫ বোতল বিদেশী মদ এবং ১৪২৮ বোতল দেশী মদসহ নিম্নোক্ত ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতার কৃত রা যথাক্রমে, মোঃ মজিবুর রহমান (৫০), জেলাঃ বাহ্মণবাড়ীয়া। মোঃ লিটন (৩৫), জেলাঃ বাহ্মণবাড়ীয়া। মোঃ ওলিউর রহমান (৩৮), জেলাঃ বাহ্মণবাড়ীয়া। এবং মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩৮), জেলাঃ নারায়নগঞ্জ।

হোটেল পিকক লিঃ এর বিভিন্ন নথির মাধ্যমে জানা যায় যে, উক্ত বারের মালিক ফিরোজুর রহমান।

পরবর্তীতে উক্ত বারের মালিক এবং বাড়ীর মালিককে ডাকা হলে তারা উপস্থিত না হওয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর ডিডি, এডি, পরিদর্শক সহ ও অভিযানিক দল র‌্যাব-৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে হোটেল পিকক লিঃ এর কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উপরেল্লিখত মাদক অবৈধ ভাবে অননুমোদিত গোপন স্থানে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় তা জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য যে, অধিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে অনুমোদিত বৈধ মাদক এর সাথে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন গোপন বিশেষ সুরঙ্গে অননুমোদিত স্থানে বিভিন্ন দেশি-বিদেশী মাদকদ্রব্য মজুদ করে অবৈধ ভাবে বিক্রি করার অপরাধে হোটেল পিকক লিঃ এর মালিক, বাড়ির মালিক এবং বারের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান।

ভবিষ্যতে এরূপ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।