রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈলে শিক্ষক কর্তৃক শির্ক্ষাথীকে নির্যাতনের অভিযোগ
পাওয়া গেছে। জানা যায়,নেকমরদ ২ নং ইউনিয়নের ঘনসামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘনসামপুর জি, কোকিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সড়েজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ২৩ জুলাই টিফিন আওয়ারে সহকারি শিক্ষক কহিনুর বেগম একটি শ্রেনিকক্ষে নামাজ আদায় করছিলেন। হঠাৎ আকাশের বৈরী আবহাওয়ার কারনে বাতাসে ঘরটির দরজা লেগে যায়। তিনি (কহিনুর) চিল্লাতে চিল্লাতে দরজা খুলে বের হয়ে সন্দেহ বশতঃ ৩য় শ্রেনির ছাত্রী বেনু আকতার (৮) কে কষে থাপ্পর মারেন এবং ছাত্রীটি দেয়ালের সাথে আঘাত পেয়ে প্রচন্ড ব্যাথা পায়। এ ঘটনায় অভিবাবক বিষয়টি জানতে পারে পরদিন ২৪ জুলাই ছাত্রীর মা ঘটনাটি ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র রায়কে অভিযোগ দিতে গেলে এক পর্যায়ে সহকারি শিক্ষক কহিনুর বেগম নিজ পায়ের জুতা খুলে ছাত্রীর মাকে পেটান। বিষয়টি বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক তার উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার সীমান্ত বসাককে জানান।পরের দিন ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সহকারি শিক্ষা অফিসার সীমান্ত বসাক স্কুলে এসে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষক কহিনুর বেগমকে অভিভাবককের কাছ তার ভুল শিকার করতে বললে কোন তোয়াক্কা না করে উল্টো অভিভাবকদের ভুল শিকার করতে বলেন এবং তিনি ভুল শিকার করবেন না তা শিক্ষা অফিসারকে সাফ জানিয়ে দেন। তাৎক্ষনিক সহকারি শিক্ষা অফিসার সীমান্ত কুমার ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র রায়কে ঘটনাটির উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিতে বলেন বলে জানান, প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্ররায়। এ দিকে স্কুল কমিটি’র সহ-সভাপতি তাহের সরকার জানান, ঐ শিক্ষক বেপোরোয়া হয়ে গেছে , তিনি কাউকে মানেন না, সম্মান দিতে জানেন না। তার অনেক অভিযোগ! উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার সীমান্ত কুমারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মীমাংসা করে দিয়েছি, অভিভাবকরা না মানলে প্রধান শিক্ষককে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছি। রাণীশংকৈল উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোকছেদুর রহমান বলেন,বিষযটি আমি শুনেছি। আগামি রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।