ইসমাঈল ইমু : চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পথে টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও শ্রমিকলীগ নেতা শাহজাহান মিয়াকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকার পরও অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বোন সুফিয়া বেগম ও ভাই সালাহউদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহানের মা হামিদা বেগম বলেন, তার ছেলে গত ইউপি নির্বাচনে টেকনাফ সদরের ৩ নম্বর ইউনিয়নে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় একটি কু-চক্রিমহল তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তার বড় ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ দীর্ঘ দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি বলেন, শাহজাহান শারীরিকভাবে দেড় বছর ধরে গুরুতর অসুস্থ। গত ২৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টেকনাফ হয়ে সড়ক পথে বেনাপোল সিমান্তে যায়। সীমান্ত পার হওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে জানায় যে, তার পাসপোর্টটি ব্লক করা আছে। পরে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে তাকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে নেকনাফসহ কোনো থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ নেই। যদি সে রাষ্ট্র বা সমাজ বিরোধী কোনো কর্মকান্ডে জড়িত থাকে তাহলে তাকে যেন আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার করা হয়। তিনি তার ছেলের নি:শর্ত মুক্তি ও হয়রানি থেকে মুক্তি ও চিকিৎসা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।