নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপালের বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে বিকেল সোয়া চারটার দিকে ডিআইজি পার্থকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। ৩০ মিনিট পর পার্থকে আদালতে তোলার পর শুনানি শুরু হয়।
এদিন পার্থ গোপালের পক্ষে আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদার, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল, তাপস কুমার পাল প্রমুখ জামিনের বিরোধিতা করেন।
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন পার্থ গোপালের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, সোমবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে পার্থর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৬১, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর ভূতের গলি এলাকায় পার্থ গোপালের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বাসায় অভিযান চালান কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ। পরে তার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ডিআইজি (প্রিজন) থাকার সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ওইদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পার্থ বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, উদ্ধারকৃত টাকার বিষয়ে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। অনুসন্ধান কর্মকর্তা জব্দকৃত টাকার বৈধ উৎস খুঁজে পাননি।