নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যাও বাড়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জন এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবদুর রহমান খান জানান, গত সোমবার রাত পৌনে ২টার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারজানা হোসেন নামে ৪৫ বছর বয়সী এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়। সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মিরপুর শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল ফারজানা রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় থাকতেন। তার স্বামী নুরুল আমিন পেশায় একজন চিকিৎসক। নুরুল আমিন বলেন, এক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তার স্ত্রীকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সোমবার তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে মারা যাওয়া অন্যজন হলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদার। ২৫ বছর বয়সী লিটন গত ২৭ জুলাই থেকে মেডিসিন বিভাগের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। গত সোমবার থেকে তার মধ্যে শক সিনড্রোমের উপসর্গ দেখা দেয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসকরা লিটনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে এএসআই আবদুর রহমান খান জানান। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া দুজন হলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকার নাসির খানের ছেলে আসলাম খান (২৪) ও পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার গোসনতারা এলাকার আদম আলীর ছেলে সোহেল (১৮)। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসলাম এবং রাত দেড়টার দিকে সোহেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা দুজনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন এবং দুজনের অবস্থাই ছিল গুরুতর। স্বজনদের বরাত দিয়ে পরিচালক বলেন, তারা দুজনই ঢাকায় থাকেন। অসুস্থ হওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর তারা সঠিক চিকিৎসা নেননি বলেই মনে হচ্ছে। তাদের রক্তচাপ দ্রুত কমে যায় এবং একপর্যায়ে তাদের মৃত্যু হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত ২৪ জন রোগী বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে বাকির হোসেন জানান।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2019/07/new-3-death.jpg)