নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিউটে একটি আলাদা ইউনিট খোলা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম নাছির উদ্দীন। সেখানে রেখে ডেঙ্গু রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবেও জানান তিনি। বুধবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম নাছির উদ্দীন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের সেবার জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চিকিৎসক, নার্স, ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছুটি বাতিল ও কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানে যারা ভর্তির যোগ্য তাদেরকে ভর্তি রেখে বিনা পয়সায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে।
ঢামেকে আসা ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আমাদের এখানে শিশুর সংখ্যাই বেশি। প্রয়োজনে ঢামেক হাসপাতালের পুরাতন ভবনে আনসার সদস্যদের অস্থায়ী থাকার স্থানে শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঢামেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলেও দাবি করেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম নাছির উদ্দীন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত জানুয়ারিতে ঢামেকেব ডেঙ্গু রোগী এসেছিল ৩ জন, তারা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। মার্চে ৪ জন, এপ্রিলে ৩ জন, মে মাসে ৮ জন, তারা চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। পরে জুন মাসে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। সে মাসে ১৩৫ জন, তার মধ্যে ১৩৪ জন চিকিৎসা শেষে চলে যান।
সবশেষ জুলাই মাসে ২ হাজার ২৪২ জনের মধ্যে ১ হাজার ৫৮১ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে সর্বমোট রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৯৫ জন। এরমধ্যে ১ হাজার ৭৩৩ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। এ সময়ে ১০ জন রোগী মারা গেছেন।
এসময় আরও জানানো, বুধবার সকাল পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট ৬৫২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।