চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবেলা সম্ভব নয়

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন জীবনী ঢাকা রাজধানী রাজনীতি স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে ডেঙ্গুর সংকট মোকাবেলায় কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বলেছেন, এই সংকট সঙ্গে সঙ্গে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।


বিজ্ঞাপন

শনিবার দুপুরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশে হঠাৎ করে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবেলা করা যায় না। এই সংকট মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’

ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস ইজিপ্টি মশার জীবনচক্র এর মোকাবেলা কঠিন করে তুলেছে। ঘরোয়া পরিবেশে বা লোকালয়ের কাছে কোনো পাত্রে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানি জমে থাকলেই সেখানে জন্ম দিতে পারে এডিস মশা। এ নিয়ে জনসচেতনতার অভাবও স্পষ্ট। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখার বদভ্যাস এই সমস্যাকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

আবাসিক ভবনের পাশাপাশি নির্মাণাধীন ভবন, রাস্তার পাশে ফেলে রাখা ডাবের খোসা, পলিথিন বা কৌটা বা পরিত্যক্ত টায়ার অথবা অন্য কোনো জিনিসপত্র-যেখানে তিন দিন পানি জমতে পারে, সেটাই হতে পারে এডিসের আতুর ঘর। গত দুই দশকের মধ্যে ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্তারের মধ্যেও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে আলোচনাই হচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবেলা করা যায় না। সবার সমন্বয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারলে এ সমস্যা মোকাবেলা করা যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা দীর্ঘ দুই বছর ধরে, তাদের ড্রেন-নালা পরিষ্কারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোর পর তাদের শহর ডেঙ্গু মুক্ত ঘোষণা করেছে।’

‘এরই মধ্যে আমাদের সিটি করপোরেশনসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থাগুলো এডিস মশা প্রতিরোধ বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করছে।’

ডেঙ্গু মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ভূমিকা রাখবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘সিলেটে ইউনিয়নভিত্তিক বিট পুলিশিং চালু হয়েছে। রাজধানীতেও ওয়ার্ডভিত্তিক বিট পুলিশিং আছে। যেসব জায়গায় বিট পুলিশিং আছে। তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করবে, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

সরকার এ বিষয়ে জনসচেতনতা গড়তেও কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু নির্মাণে মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরেও সচেতনতা বাড়িয়ে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।

‘এখন কেউ যদি এ ধরনের গুজব ছড়ায়, মানুষ তাদের ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করছে। এছাড়া প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন করে তথ্য দিচ্ছে।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *