প্রধানমন্ত্রীর উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড লাভে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

জাতীয়

নিজস্ব প্রতবিদেক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ‘অ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর কেন্টিন থেকে মিছিল শুরু করে কলাভবন, ভিসি চত্তর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ইডেন কলেজ শাখা, ঢাকা কলেজ শাখাসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা যিনি বাংলাদেশকে এক উচ্চ আসনে বসিয়েছেন যাকে সারাবিশ্ব চিনে যার কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তিনিই শেখ হাসিনা। যার নেতৃত্ব সারাবিশ্বে একটি মডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। আজকে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে অভিনন্দন জানাই। যার কারণে বাংলাদেশ এক অনন্য জায়গায় স্থান পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের প্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে আমরা এও জানি খালেদা জিয়ার কুপুত্র তারেক রহমান যে কিনা রাজনীতির স্বরবর্ণ ব্যাঞ্জনবর্ণ বুঝে না। সেই তারেক রহমানকে আমরা চিনি। এই অশিক্ষিত তারেক রহমানের ইতিহাস আমরা দেখেছি। তিনি হাওয়া ভবনে বসে বাংলাদেশের পার্সেন্টেজ চাইতো। ১০ পার্সেন্ট তারেক জিয়া হিসবে পরিচিত লাভ করেছিলো। একসময় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরিচিত লাভ করেছিল। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে জনপ্রিয় একটি রাষ্ট্র হিসেবে লাভ করেছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বিগত ১৩ বছরে যতটা উন্নয়ন বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে ততটা উন্নয়ন স্বাধীনতার পর থেকে কেউ কখনো করতে পারেনি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সঠিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু যখনি অন্য কোন দল বাংলাদেশে সরকারে এসেছে, তখনি তারা ক্ষমতার রাজনীতি ধরে রাখার জন্য পরবর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা এখন যেভাবে প্রশ্ন তুলেছে, তারা কিন্তু তাদের সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসন।
উল্লেখ, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের ৮০টি দেশের সদস্যভুক্ত সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ‘উইটসা ২০২১’ পুরস্কার প্রদান করে।


বিজ্ঞাপন