সড়কে ময়লা ছড়িয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধন

জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা রাজধানী শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি সড়কে ময়লা ছড়িয়ে তা পরিষ্কার করতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এবার প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার ক্যাম্পাসে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অভিযোগ উঠেছে এসময় সড়কে ময়লা ছড়িয়ে তা পরিষ্কার করা হয়।


বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ঘোষণা অনুযায়ী সকালে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’র উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ১১টায় ক্যাম্পাসের পরিষ্কার সড়কে ময়লা ছিটিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। এরপর ঘটা করে সে ময়লা পরিষ্কার করে ক্লিন ক্যাম্পাস উইক উদ্বোধন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেখানে কোনো দিন সকালে ময়লা পড়ে থাকতে দেখি না সিটি করপোরেশন ভোরেই পরিষ্কার করে, সেখানে ময়লা ফেলে ময়লা পরিষ্কার লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও যদি মন্ত্রী কিংবা মেয়রের মতো লোক দেখানো কাজে হাটে তাহলে এটা হতাশার। ময়লা না ফেলেও ক্লিন ক্যাম্পাস উইথ উদ্বোধন করা যেত।

কর্মসূচি উদ্বোধনকালে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’ শীর্ষক পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানের ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আমাদের মনস্তাত্ত্বিক জগতের একটি পরিবর্তন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার একটি বার্তা ও সংস্কৃতি শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টিভঙ্গিতে থাকতে হবে। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুসহ যেকোনো রোগ প্রতিরোধে নিজ নিজ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার প্রতি আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এই কর্মসূচিতে আরো অংশগ্রহণ করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ডাকসু’র এজিএস মো. সাদ্দাম হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্টরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *