নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী ছাড়া ঈদের অন্য কোন উপহার নেই

অপরাধ জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা রাজধানী সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বাস, লঞ্চ ও বিমান পথে সারাদেশে ভাড়া ডাকাতি চললেও প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ তেমন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্যদিকে হাজার হাজার ফিটনেস বিহীন ট্রাকে পশু বহন করা হচ্ছে। এসব পশুবাহী ট্রাক ও ফিটনেসহীন বাস থেকে পুলিশ ও চাঁদাবাজীদের চাঁদাবাজীর কারণে রাজধানীর প্রবেশমুখসহ সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সংস্কার না করায় যানবহনের গতি কমার পাশাপাশি দুর্ঘটনা সংঘঠিত হচ্ছে। এতে করে যানজটে ভোগান্তি পহাচ্ছে ঈদে বাড়ীগামী যাত্রীরা। বক্তারা অনতিবিলম্বে এসব ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে ঈদ যাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি রিয়াদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন পলাশের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি এড. সাদেকুর মিয়া তালুকদার ও বাবু আহমেদ। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম, জাগো গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদসহ প্রমুখ।
সংহতি প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ সভায় এবার ঈদে বন্যা ও ডেঙ্গুর কারণে ভাড়া না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা আশা করবো মন্ত্রীর এই দাবি যদি পরিবহন সেক্টর পালন করে তাহলে যাত্রীরা ভাড়া নৈরাজ্য থেকে রেহাই পাবে। কিন্তু কার্যত এখন যারা নাড়ীর টানে বাড়ী যাচ্ছে প্রত্যেককে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্য অকার্যকর হয়ে পড়েছে। আমরা আশা করবো এ বিষয়ে আইন করে কার্যকর করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে বাড়ী যেতে গিয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকে ঈদ আনন্দ কান্নায় পরিণত হয়। বেপরোয়া গাড়ী চালিয়ে যারা সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হন তাদেরকে সাবধানে গাড়ী চালানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *