নিজস্ব প্রতিবেদক : মশার নতুন কীটনাশকের আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শুক্রবার বিকালে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কীটনাশক প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন।
চীন থেকে নিয়ে আসা মশার নতুন কীটনাশক রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগ শুরু করা হয়।
এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মেয়র বলেন, মশককর্মীদের জন্য এটাই চেয়েছিলাম। হেঁটে হেঁটে ওষুধ দিতে হয় বলে তাদের অনেক অভিযোগ শুনতাম। এখন আর তা থাকবে না। একবার ওষুধ দেওয়া শেষ হলে অফিসে এসে দ্রুত রিফিল করে ফের ওষুধ দিতে যেতে পারবে তারা।
এরপর মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এলে তাকেও নতুন এই যন্ত্র দেখান আতিক। পরে মন্ত্রীকে নিয়ে টাউন হল এলাকার বাজারের বিভিন্ন দোকান, আবাসিক ভবন এবং অলিগলিতে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন মেয়র। তখন ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মশার প্রজননস্থল হতে পারে এমন কিছু স্থান চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শন শেষে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মকভাবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে। আজ ছুটির দিনেও আমরা এসেছি, আপনারা এসেছেন। সচিবালয়ে গেলে দেখবেন আমাদের মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সব কর্মকর্তা কাজ করছেন। এই ধারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গ্রাম পর্যায়ের দপ্তরেও অব্যাহত আছে। দুই সিটি করপোরেশনকে আমরা নতুন করে এক হাজার ৬০০ কর্মী দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই দেখেছি শিশুদের পাঠ্য সিলেবাসে ডেঙ্গু বা মশার বিষয়ে পড়ানো হয়। ডেঙ্গু বিষয়ে আমাদের বছরের ৩৬৫ দিন কাজ করতে হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। সরকার তার সব শক্তি প্রয়োগ করলেও শহরের সব বাসার পরিবেশ ঠিক করতে পারবে না। কিন্তু প্রতিটি বাড়ির মালিক যদি একদিকে নিজ নিজ উদ্যোগে কাজ করেন তাহলে শহরের সব বাড়ি একদিনে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ওষুধ সব দপ্তরে পরীক্ষিত হয় এসেছে। আজ থেকে নতুন ওষুধ ছিটানো শুরু হলো। তবে আমরা যেমন ওষুধ ছিটাবো তেমনি সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের কাজ ওষুধ ছিটানো হলে নগরবাসীর কাজ সচেতন হওয়া। আমরা যারা ঈদে বাড়ি যাচ্ছি সবাই খেয়াল রাখবো যেন আমাদের বাসার ভেতরে বালতি, বদনা, গাছ বা ফুলের টব এগুলো যেন উল্টে যাই, এগুলোতে পানি জমতে না পারে। জানালার পর্দা ভাঁজ করে যাই পারলে অ্যারোসল ছিটিয়ে যাই। কমডের ঢাকনা যেন নামিয়ে যাই।