পিরোজপুর প্রতিনিধি : মানুষ নামের জানোয়ার হয়ে হীন স্বার্থের জন্য বিবেককে জলাঞ্জলি দিতে কার্পণ্যতা করেনি বিষ্ণুকাঠীর ওবায়েদ ও আরিফ গংরা। স্থানীয় সূত্র জানায় গত সোমবার রাত দুপুরে শত্রুতার রেশ ধরে এচক্র চাষ করা মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাদশা মিয়ার ছেলে ওবায়েদ (২২) ও সাবেক মেম্বার আউয়ালের ছেলে আরিফের (২৩) বিরুদ্ধে। বিষ প্রয়োগ করে কয়েক হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে সমাজের দুষ্টু প্রকৃতির একটি সংঘবদ্ধচক্র। আর এদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগসহ ভিডিও ফুটেজ প্রদান করেন স্থানীয় মো. হানিফ ও তার পরিবার। অভিযোগে স্থানীয় হানিফ মিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, গত বছর তার মেয়ে স্কুল পড়–য়া হাসিকে নিয়ে মূল ঘটনার সূত্রপাত। এলাকায় আমার মেয়েকে ইভটিজিংসহ নানান কায়দায় হয়রানি করতো এচক্র। আমার মেয়ে প্রতিবাদও করতো। এক পর্যায় ওবায়েদ আমার মেয়েকে বিয়ে করার জন্য নানান কায়দায় আকার ইঙ্গিত করে। পরিস্থিতি আনুকুল্যে না হওয়ায় আমরা এচক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে আমাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হই।
গত সোমবার এচক্র আমার মেয়ের জামাই ও মেয়েকে এসিড় মারারও হুমকি দেয়। আমাদের মেয়ের জামাইকে এলাকা থেকে চলে যেতে বাধ্য করে ওবায়েদ ও আরিফ চক্র। পাশাপাশি ঐ রাতেই এই জগন্যচক্র আমাদের পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে। হীনস্বার্থের জন্য আমাদের মেয়েকে বিয়ে করতে না পারার কারণে ঈর্ষা পরায়ণ হয়ে বিষ প্রয়োগ করে পুকুরে। এদিকে বিষ প্রয়োগের ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় এ জগন্য ঘটনার শিকার মো. হানিফ ও তার পরিবার কান্নারত ভাষায় মিডিয়ার সামনে এ চক্রের বিরুদ্ধে বিচারের দাবী জানান। পাশাপাশি এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। অবশ্য এলাকার সাবেক সংসদ শাহ আলম বিষয়টি অবগত করেন।
সর্বশেষ পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগ পেশ করেন বাদশার ছেলে ওবায়েদ ও সাবেক মেম্বার আউয়ালের ছেলে মো. আরিফের বিরুদ্ধে। আর গত মঙ্গলবার অভিযোগের দ্বিতীয় আসামি মো. আরিফকে প্রশাসন গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এদিকে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযেগের কথা প্রশাসন স্বীকার করেন জেলা মিডিয়ার কাছে। তবে এখনো মামলা হয়নি বলে প্রশাসন জেলার মিডিয়াকে অবগত করেন।