নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস- ২০১৯ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ১৫ আগস্ট দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন, সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ৩২ ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দেশের সর্বস্তরে বাস্তবায়নে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদমুক্ত নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করা অপরিহার্য। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। এই লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনীমূলক লেখা আরো অধিক অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন। আলোচনা সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৪ টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৫১, ৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকায় ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের মহাসচিব আতাউল্লাহ খান, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান এম.এ ভাসানী, জয়বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, আওয়ামী প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনউদ্দিন পাঠান, দৈনিক বঙ্গজননী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান জিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী। এই আদর্শকে নতুন প্রজন্মসহ সকলের হৃদয়ে অন্তরে ধারণ করতে হবে। মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসরণ ও অনুকরণ করা অপরিহার্য। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদমুক্ত নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সর্বস্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
আলোচনা শেষে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল।