নড়াইল আগদিয়ায় ৭ম শেণির ছাত্রী বৃষ্টির শ্লীলতাহানি

অন্যান্য এইমাত্র

!! অবশেষে প্রতিকার না পেয়ে লোকলজ্জা,সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার আশংকায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো বৃষ্টি বাল্য বয়েসেই বাবা মারা যায়, মা প্রতিবন্ধী বৃষ্টির আত্মহুতির বিচার হবে কি? !!


বিজ্ঞাপন

মোঃ রফিকুল ইসলাম ঃ নড়াইলে ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নে আগদিয়া গ্রামে।

এ ঘটনায় ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবালিকা কন্যার শ্লীলতা হানির ঘটনায় ওই মেয়ে লজ্জায় পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

নাবালিকা মেয়েটির নাম বৃষ্টি বিশ্বাস। বাল্য বয়সে ওই মেয়ের বাবা উৎপল বিশ্বাস মারা যায়। মা মানুষিক প্রতিবন্ধী।

প্রতিবন্ধী মা হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দিদি- মা লালন পালন করেছে বৃষ্টি কে। বৃষ্টি আগদিয়া শিমুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

যানা গেছে, ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী আগদিয়া গ্রামের নুর শেখের ছেলে ইউনুস শেখের ঘেরে কুল বরই ছিড়তে যায়।

দুর থেকে নজরে আসে অল্প বয়সী এই ফুটফুটে মেয়েটির উপর ইউনুসের। কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে ইউনুস। যৌনতৃপ্তি মেটানোর লালসা দুর করতে গেলেই, চিৎকার করে দৌড়ে বাড়ি আসে কিশোরী বৃষ্টি বিশ্বাস।

এসময় লম্পট ইউনুস পরিস্থিতি বেকায়দা দেখে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসেন। বিষয়টি কোন ভাবে মেনে নিতে পারিনি বৃষ্টি । লোক লজ্জায় ওই রাতে সে আত্মহত্যা করে।

অভিভাবক শুন্য হওয়ায় এ নিয়ে কোন রকম আইনি সহায়তা পাইনি পরিবারটি। স্থানীয়দের দাবি এই কিশোরী মেয়েটা ইউনুসের জন্যই আত্মহত্যা করেছে।

তার সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা আরো বলেন, এলাকার প্রভাব শালী জসিম নামে এক যুবক এই ইউনুসকে সার্বিক ভাবে সাহায্য করছে।

এ বিষয়ে কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিষ বিশ্বাস জানান, অসহায় পরিবারটি ভয়ে মামলা করতে পারছে না।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।