উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লার হাট কর্তৃক ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাত ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা পিরোজপুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

অন্যান্য এইমাত্র

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে মঙ্গলবার ৯ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৭ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মোল্লাহাট, বাগেরহাটসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ী চাষীদের সরকার কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং এ প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়ের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারি, একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে দুদক টিম ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি চাষি, মৎস্য কর্মকর্তা সহ এলাকাবাসীর সাথে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রাপ্তির ব্যাপারে আলোচনা করে। এ সময় কয়েকজন চিংড়ি চাষি অভিযোগ করেন তারা ক্ষতিপূরণের অর্থ পাননি। তবে তাদের এ অভিযোগের সত্যতা রয়েছে কি-না তা যাচাই করার জন্য দুদক টিম ক্ষতিপূরণ প্রদান সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত নথিপত্র যাচাই-বাছাইপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় পিরোজপুর এর প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের উন্নয়ন মেলার জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বরিশালের সহকারী পরিচালক জনাব রাজ কুমার সাহা’র নেতৃত্বে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, পিরোজপুরে আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় দুদক টিম উন্নয়ন মেলার জন্য বরাদ্দকৃত নথিপত্র পর্যালোচনা করে। তৎপ্রেক্ষিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র এবং বক্তব্য পর্যালোচনা করে টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৭টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।