পিরোজপুর প্রতিনিধি : ক্ষমতায় না থেকেও ক্ষমতা দেখিয়ে মাস্তানী করার অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠির ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার কাজী কামালের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি প্রতিবেশীর লপ্ত সম্পত্তির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ারও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে জেলার বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কোরবানির আগে ছাত্রদলের সাবেক ক্যাড়ার ও জেলা বিএনপির নেতা শনিবার সকাল দশটার দিকে সুপরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করে স্বরূপকাঠি পৌরসভার নার্সারী ব্যবসায়ী আ. সালামের উপর। এ সময়ে সন্ত্রাসীরা রাষ্টীয় পদকে ভূষিত স্বরূপকাঠির আদর্শ নার্সারির মালিক মো. আ. সালাম হাওলাদারের নার্সারির মূল্যবান ফলজ ও বনজ গাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ঐ সময় নার্সারির মালিকের লোকজন বাধা দিলে কাজী কামাল আরও ক্ষিপ্ত হয়। পাশাপাশি মালিক আ. সালামকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মালিক সয়ং নিজেই গঠন মূলক প্রতিবাদ করেন কাজীর সাথে। আর প্রতিবাদই কাল হয়ো দাঁড়ায় সফল ব্যবসায়ী আ. সালামের। এদিকে কাজী কামালের নেতৃত্বে ব্যাবসায়ী সালামকে বেধম মারধর করেন সাবেক বিএনপির নেতার নিজস্ব বাহিনীর লোকজন। প্রত্যক্ষদর্শিরা নাম না প্রকাশের শর্তে গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সকালের ঘটনায় শতভাগ দোষী কাজী কামাল। বিগত সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের মতামত উপেক্ষা করাসহ গ্রাম্য বিচার ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাচ্ছে ঠান্ডা মাথায়। আ. সালামের ক্রয়কৃত সম্পত্তির পাশের লপ্ত সম্পত্তির উপর নজর পড়েছে কাজী কামালের। স্থানীয় প্রশাসনের মতামত উপেক্ষার পাশাপাশি মাস্তানি কায়দায় আদর্শ নার্সারির ব্যাপক ক্ষতি সাধনসহ ব্যাবসায়ীকে হত্যার হুমকি দিতেও কার্পণ্যতা করেনি। এলাকার লোকজনের তথ্যমতে আঘাত প্রাপ্ত আ. সালাম জরুরী ভাবে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য স্থানীয় থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিল। বর্তমানে চিকিৎসা শেষে নিজ বাসায় অবস্থান নেন। মামলাও নিচ্ছে না আর সামাজিক ভাবে শালিশী বৈঠক নিয়ে সময় নিচ্ছে আসামি কাজী কামালের পক্ষের লোকজন। সর্বশেষ গত পরশু সামাজিক বিচারের নামে এক ধরনের প্রহসনের রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের তদন্ত অফিসার সহ পৌরসভার মেয়র জি এম কবির, কাউন্সিলরসহ বহু রাজনৈতিক দলের লোকজনও ছিল। অথচ এক পর্যায়ে কাজী কামালের বিরুদ্ধে কোনো জোরালো ভূমিকা নেওয়া হয়নি। কি কারণে নেওয়া হয়নি তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। বিঞ্জ বিচারক মহোদয়েরা কোন মতে মিলিয়ে দেয়। বৈঠকে বিএনপির নেতা কাজী কামাল ক্ষমা চায় আ. সালামের কাছে। কিন্তু নার্সারিতে লক্ষাধিক টাকার ফলজ ও বনজ গাছের ক্ষতি সাধন করে কাজী কামালের নেতৃত্বে। অথচ শালিশী বৈঠকে সকলে বেমালুম ভুলে যায় ক্ষতি সাধনের কথা। হতাশার সুরে নার্সারি ব্যবসায়ী আ. সালাম গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বলেন, কাজী কামাল সুপরিকল্পিত ভাবে মাস্তানী করে নার্সারির ক্ষতি সাধন করেছে। কিন্তু আমি সঠিক বিচার পেলাম না। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে আ. সালামের বলেন, আমরা মামলা করার জন্য এখনো প্রস্তুত আছি। স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। সর্বশেষ পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনসহ নার্সারি ব্যবসায়ীরা মন থেকে এসব বিচার মেনে নিতে পারেনি। আর এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন হচ্ছে তাহলে কি কাজী কামালের বিরুদ্ধে কেউ সঠিক কথা বলতে ভয় পায়। বিচিত্র সেলুকাস ক্ষমতায় নেই কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দেখাতে ঝুড়ি মেলা ভার।