নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবে আওয়ামী লীগ।
বুধবার সকালে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী বেদিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনিসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
কাদের বলেন, একুশে আগস্ট হত্যাকা-ের যেমন বিচার হয়েছে, ঠিক তেমনই এ হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানেরও সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে। অবশ্যই আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের বক্তব্যে আছে তারেক রহমানের নির্দেশেই তারা সেদিন হামলা চালিয়েছিল। হত্যাকা-ের যেমন বিচার হয়েছে, হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ডেরও এমন বিচার হতে হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, একুশে আগস্ট আজকের এই দিনে তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাসীদের দিয়ে রক্তস্রোত বয়ে দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। ১৫ আগস্টের পর ২১ আগস্ট, ইতিহাসের এ দুটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে যে কর্ম সম্পর্ক থাকা দরকার আমি মনে করি, একুশে আগস্টের মধ্য দিয়ে তা চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এরপরও খালেদা জিয়াকে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এরপরও আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পুত্রহারা মাকে সান্ত¡না দিতে তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। কী দুর্ব্যবহার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করা হয়েছে! বাংলার মানুষ জানে। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংলাপের রাস্তায় বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, একুশে আগস্টের হত্যাকা-ের বিচার আদালতে হয়েছে। এখন পেপারবুক তৈরি হচ্ছে, এরপর ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কর্ম সম্পর্কে ওদের কথা যারা বলে, আমি বলবো, এর জন্য দায়ী বিএনপিই। ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে যেটা তারা তৈরি করেছে, তা ভুলে যাওয়া আমাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না।
কাশ্মীর ইস্যুতে ঢাকার বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করে কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিলের বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দেখছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ একটি বিবৃতিতে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মনে করে যে, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নীতিগত অবস্থান থেকে বাংলাদেশ সবসময় প্রচার করে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি উন্নয়ন সব দেশের জন্যই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
এর আগে গেল সোমবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ সফরে আসেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করেন।
এ সময় অক্টোবরে দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারতে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিঠি তুলে দেন। বুধবার সকালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এস জয়শঙ্কর।