পটুয়াখালীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মান কাজে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যাবহারের অভিযোগে দুদকের অভিযান

অন্যান্য অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণের কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক মােঃ ওয়াজেদ আলী গাজীর নেতৃত্বে মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালীতে বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।


বিজ্ঞাপন

অভিযানকালে টিম সরেজমিনে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করে এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সুবিদখালী ইউনিয়নের ডােকলাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ থেকে ডােকলাখালী স্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তাটির নির্মান কাজ ২০২১ সালে শুরু হয়ে এখনাে চলমান রয়েছে। রাস্তা নির্মাণের শুরুতে বালির বেড তৈরি করে খােয়া ও বালির মিশ্রণ দিয়ে রােলার করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

খােয়া দেওয়ার সময় নিম্নমানের ইট দেখে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালীর উপজেলা প্রকৌশলী মােঃ আশিকুর রহমানের নির্দেশে সাইট থেকে নিম্নমানের ইট সরিয়ে নেওয়া হয়। সরেজমিনে দেখা যায় যে, রাস্তার কিছু অংশে ৬ ইঞ্চি খােয়া দিয়ে রােলার করা হচ্ছে এবং কিছু যায়গায় প্যালাসাইটিং নির্মাণ কাজ চলছে।


বিজ্ঞাপন

অভিযানকালে ঠিকাদার অনুপস্থিত থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকল্প সংশিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী জনাব মােঃ দেলােয়ার হােসেন অভিযানকালে উপস্থিত থেকে কাজের অগ্রগতি বর্ণনা করেন।

তিনি জানান যে, চলমান কাজের ৪০% শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২৫% বিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে পরিশােধ করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালােচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর প্রেরণ করা হবে।

দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদ, জৈন্তাপুর, সিলেট-এর সদস্যের বিরুদ্ধে ২০২০-২১ অর্থবছরের কাবিখা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ভুয়া ভাউচার সৃজন করে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযােগে দুদক, সজেকা, সিলেট এর সহকারী পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন ও উপসহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার এর সমন্বয়ে গঠিত টিম কর্তৃক গতকাল বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে উক্ত টিম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য গ্রহণ করেন।

অভিযান পরিচালনাকারী টিম প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক পরবর্তী কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৫টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।