পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ সরকারকে ফাঁকি দিয়ে গ্রাম পর্যায়ে সাধারন মানুষ কে জিম্মি করে নিয়মনীতি ছাড়া সুদের ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে মাহামুদার (৫০) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, স্বরূপকাঠীর বলদিয়ার বটতলার বারেকের স্ত্রী মাহমুদা বলদিয়াসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের নিরীহ মানুষ কে জিম্মি করে বেআইনী ভাবে সুদ ব্যাবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বেশ কিছু লোকজন লিখিত আকারে অভিযোগ করেন জাতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের। উভয়ে বলেন, আমরা সরল বিশ্বাসে মাহমুদা আপার কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা নিতাম। আমরা সুদ দিতাম কিন্তু এক হাজার টাকা ঠিকই থেকে যেত। কলারদনিয়ার সুফিয়া বলেন, আমি ৫০,০০০ টাকা নিয়েছি। কিন্তু আড়াই বছরে প্রায় ষাট হাজার টাকা ঠিকই দিয়েছি। অথচ এখনো আমার কাছে আসল ৫০ হাজার টাকা ঠিকই রয়ে গেছে। গ্রামের নিরীহ মানুষ আজ জিম্মি বলদিয়ার বটতলার মাহামুদার কাছে। স্থানীয় পর্যায়ে সুদের ব্যাবসা নিয়ে বহু লোকজনকে নাজেহাল হতে হয়েছে। সুদের টাকা পরিশোধ করতে অনেকে ভিটা বাড়ীও বিক্রি করার প্রায় দ্বারপ্রান্তে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বর সহ এলাকার গণমান্য লোকজন বিভিন্ন সময়ে গ্রাম্য শালিশী বিচার করে ক্লান্ত। সকলেই অতিষ্ঠ মাহমুদার সুদ ব্যাবসার কাছে। তবে ভিন্নকথা বলেন এলাকার সুশীলসমাজের লোকজন। তাদের কথা, কেন সুদ আনতে যায় মাহমুদার কাছে। তাছাড়া কাগজপত্র ছাড়া টাকা লেনদেন কখনই শুভ লক্ষন নয়। আসলে সরকারি অনুমতি ছাড়া বছরের পর বছর অন্যায় ভাবে সুদের কারবার করচে সুকৌশলে। সরকারের আইনের কোন তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশি মত গ্রামে সুদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মিডিয়াকর্মীরা জেলা সমবায় সমিতির কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন গাও গ্রামের সুদ ব্যবসা নিয়ে। জেলা কর্মকর্তা সরাসরি উত্তর দেন আসলে এ ভাবে সুদ ব্যবসা করার কোন নিয়মনীতি নেই। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী থাকা দরকার। প্রশাসন ঠিক ভাবে নজরদারি করলে গ্রামের নিরীহ মানুষ রক্ষা পেতে পারেন সুদ ব্যাবসার কড়াল গ্রাস থেকে। সর্বশেষ মাহমুদার সাথে কথা হয় সুদের রমরমা ব্যবসায়ের কথা নিয়ে। তিনি সরাসরি উত্তর দেন আমি সুদ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত নই। আমি গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের পাশে আছি। টাকা দেই ধার হিসাবে। আমাকে বকসিস দেয় কিন্তু সুদ নয়। আমি সুদের সাথে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অহেতুক মিথ্যা অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে।