নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নীতিগত কারণে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী পৈতৃকসূত্রে ইজারার স্বত্ব-প্রাপ্ত চিংড়ি মহালের ইজারা বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন।
বুধবার ৩০ মার্চ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন-কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চিংড়িমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করার সময় এই নির্দেশ প্রদান করেন ভূমিমন্ত্রী।
চিংড়ি মহাল ইজারার ব্যাপারটি ভূমিমন্ত্রীর নিজ মন্ত্রণালয়ভুক্ত হওয়ায় নীতিগত কারণে পৈতৃক-সূত্রে ইজারার স্বত্ব-প্রাপ্ত (হস্তান্তরিত) চিংড়ি মহালের ইজারা বাতিলের এই নির্দেশনা প্রদান করলেন ভূমিমন্ত্রী।
সভায় এই সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এবং জাফর আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ।
এছাড়াও, চিংড়ি মহালের রাজস্ব প্রদানে হয়রানি রোধে ভূমিমন্ত্রী অনলাইন ব্যবস্থাপনা চালুর নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি চিংড়ি মহালের ইজারাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ কমাতে রাজস্ব জমা প্রদানের সাথে-সাথে ডিসিআর দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যেও নির্দেশ প্রদান করেন।
একই পরিবার থেকে একাধিক সদস্য যেন একই সাথে চিংড়ি মহালের ইজারা না পান, সে ব্যাপারে যাচাইয়ের জন্য অটোমেটেড সিস্টেম তৈরি করারও নির্দেশ প্রদান করেন ভূমিমন্ত্রী।
এছাড়া, চিংড়ি-মহাল নীতিমালা আধুনিকায়নসহ এনআইডি ব্যতীত চিংড়ি-মহাল ইজারা না দেওয়ার ব্যাপারেও আজ সভায় এক নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
বুধবারের সভায় বিভিন্ন জেলার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৪৪টি চিংড়ি মহালের ইজারার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এরমধ্যে সাতক্ষীরার ১৩৫ একর আয়তনের চিংড়িমহাল চিংড়ি চাষের অনুপযুক্ত হওয়ায় তা জলমহালে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, সারা দেশে প্রায় ১৫৯৬টি চিংড়ি মহাল আছে যা কোটিকোটি টাকার রাজস্ব আয়ের উৎস।
ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরার জেলার মাঠ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং চিংড়ি চাষ ও ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন অংশীজন অন্যান্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন।