বিকৃত মানুষের লালসার শিকার নারী ও শিশুরা

অপরাধ এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘আইনের শাসনের অভাবে মাদকের বিস্তার এবং মূল্যবোধের অবক্ষয়সহ বিভিন্ন কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই কারণগুলো সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মোকাবিলা করতে হবে। অনাচারমূলক দুঃশাসনে জবাবদিহিতার অভাবের কারণেই নারী ও শিশু নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যমান গণতন্ত্রশূন্য দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ পরিণত হয়েছে ধর্ষণের লীলাভূমিতে। বখাটে প্রেমিক, পাড়ার মাস্তান কর্মকর্তা, বাস কন্ডাক্টর, শিক্ষক ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ কিছু বিকৃত মানুষের লালসার শিকার নারী ও শিশুরা। ৯ মাস বয়স থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি থেকে কেউ বাদ যাচ্ছে না। এমনকি রেহাই পাচ্ছেন না বাকপ্রতিবন্ধী বা ভবঘুরে পাগলও। রাস্তাঘাট, বাস বা ট্রেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, এমনকি পুলিশ স্টেশন কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে নারীকে ধর্ষণ, পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে নির্মম কায়দায় শিশু হত্যা, পাশবিক নির্যাতনের পর নারীকে পুড়িয়ে কয়লা করে দেয়া- এইভাবে নানা অভিনব কায়দায় ধর্ষক লম্পটের হিংস্র থাবা সর্বত্র বিরাজমান।’
সেলিমা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলেই নারী ও শিশু নির্যাতন অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। কারণ অধিকাংশ নির্যাতনকারী সরকারি দলের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই কারণে এই ধরনের জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকার পরেও তাদের কেউ স্পর্শ করতে পারছে না। এরা আইনের আওতার বাইরে থাকছে।’
তিনি জানান, নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের লক্ষ্য নিয়ে ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ নামে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *