পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক বাসুদেব মন্ডল ও তার এক সহযোগীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খায়েরকাঠি গ্রামের হত দরিদ্র কার্তিক মিস্ত্রীর স্ত্রী সবিতা মিস্ত্রী তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে শুক্রবার রাতে পাশের গ্রাম ভদ্রাংক আশ্রমে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে শনিবার ভোরে বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটি মায়ের একটু পিছনে পড়ে। এ সময় বাবুল মন্ডলের বাড়ির কাছে গেলে তার পুত্র বাসুদেব মন্ডল ও তার এক সহযোগী পানের বরজের ভেতর থেকে বের হয়ে ছাত্রীটির পথ রোধ করে পানের ধরে নিয়ে বরজের ভিতর ধর্ষণ করে।
ভদ্রাঙ্ক গ্রামের ত্রাস বাসুদেব (২২) জয়দেব গংরা বিগত সময়ে মদ গাজা ও ইয়াবার একক ব্যাবসা বানিজ্য করারও অভিযোগ উঠেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে এহেন কথিত বাহিনী এলাকায় মাদকের রামরাজত্ব কায়েম করেছে যত্রতত্র ভাবে। পাশাপাশি কুমারী মেয়েদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে মেয়েদের শরীরের স্বাদ নিত এ বাহিনী।
এ ব্যাপারে এলাকার সুশীলসমাজের লোকজনসহ স্থানীয় মেম্বর সরাসরি কিছু না বললেও আকার ইঙ্গিত দিয়ে অনেক কিছু বলেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের। সর্বশেষ তথ্যমতে মেয়ের বাবা অভিযোগ করেন গত শনিবার নেছারাবাদ থানায়। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই স্থানীয় প্রশাসন মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু ধর্ষণ আইনের ধারায় মামলা হয়। মামলার আইও সাহসী অফিসার এসআই মো. মাহফুজ দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, ঘটনার সত্যতা রয়েছে। মামলায় একজন আসামিসহ আরও আসামী রয়েছে। ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে আটঘর কুড়িয়ানার গনমানুষের প্রধান দাবী, লম্পট বাসুদেব মন্ডলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চায়। পাশাপাশি উপজেলা মহিলা পরিষদেরও দাবী, কঠিন শাস্তি হোক এসব পাপীদের। আসলে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া এবং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ে এসব ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে স্বরূপকাঠীসহ সমগ্র বাংলাদেশ।