পদ্মাসেতুর ভিত্তি নিয়ে মিথ্যাচার করে নিজের রেকর্ড ভাঙলেন মির্জা ফখরুল—– -তথ্যমন্ত্রী

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন নিয়ে মিথ্যাচার করে বিএনপি মহাসচিব নিজের অসত্য কথনের রেকর্ড ভেঙেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

গত মঙ্গলবার ৭ জুন বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকরা মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘বেগম জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছেন’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী একথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফেসবুকে দেখলাম যে ফখরুল সাহেব নিশ্চয়ই কিছু খেয়েছিলেন, সেজন্য এরকম বলেছেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত, অনেকে খেলেও তিনি এরকম কিছু খান না। তিনি ভদ্র মানুষ। কিন্তু কোনো কিছু না খেয়েও যে তিনি জলজ্যান্ত মিথ্যা কথা বলতে পারেন, সেটি প্রমাণ করে মির্জা ফখরুল সাহেব নিজেই নিজের মিথ্যাচারের রেকর্ড ভঙ্গ করলেন। আসলে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়াতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় তার মোবাইল থেকে ভিত্তিপ্রস্তর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মো: আনিছুল হক চৌধুরীর বাণী ও স্মরণিকার ছবিগুলো উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে এ ধরনের অপপ্রচার না করে ভুল স্বীকার করার অনুরোধ জানাই। বিএনপির এখন বলা উচিত, তারা যে পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলো, সেটি তাদের ভুল ছিলো। ভুল স্বীকার করতে কোনো বাধা নেই, লজ্জাও নেই।’

এর আগে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস আয়োজিত ‘শিশু বিষয়ক উন্নয়নে সাংবাদিকতা’ বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

কর্মশালাটিকে সময়োপযোগী বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। আর উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন তাদের আত্মিক উন্নয়ন। কারণ, শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়ন টেকসই হয় না। বস্তুগত বা অবকাঠামোগত উন্নয়নই যদি একমাত্র উন্নয়ন হতো তাহলে ইউরোপের দেশগুলোতে মানবিকতা ও মূল্যবোধের সংকট হতো না, দুর্ঘটনা হলে শুধু জরুরি সেবার অপেক্ষায় থাকতে হতো না, বয়স্ক ব্যক্তি মানেই বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হতো না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার অন্ধ অনুকরণ নয়, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্রও গঠন করতে চান। সেজন্য নতুন প্রজন্মের মনের গভীরে মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ -এই চারের সমন্বয় ঘটাতে হবে। এবং এই কাজে সাংবাদিকদের হৃদয়গ্রাহী তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন শিশু, তাদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজকে সচেতন করতে পারে।’

বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ কর্মশালায় বক্তব্য দেন। শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *