নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমের দিকে হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে দেশের জনস্বাস্থ্যের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ডেঙ্গু মোকাবিলা। তারা বলছেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। তাই স্বস্তির কিছু নেই। এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আর সঠিক বাস্তবায়ন। এসব বিষয় মাথায় রেখেই এরই মধ্যে গবেষণা শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে, ডেঙ্গুতে আজ ঢাকা ও খুলনায় দুজন মারা গেছেন। দুপুর পর্যন্ত গত ১৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ভর্তি হয়েছেন ৭৬১ ডেঙ্গু রোগী।
চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু পরিস্থিতির সবচেয়ে ভয়াবহ দিক দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে সারা দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এই পরিস্থিতি। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৮০০।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল রউফ বলেন, কিছুটা স্বতি হলেও, আশঙ্কা থেকে যায়। ডেঙ্গুর পরিস্থিতি নির্ভর করছে প্রকৃতির উপর।
এমন বাস্তবতায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তির কিছু দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। বরং তারা বলেছন, বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব, বাহকজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবেই প্রত্যন্ত এলাকাতেও। মিলেছে এডিসের লার্ভা। এই সময়ে জন স্বাস্থ্যের বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। তাই মোকাবিলায় সারা দেশে দরকার স্বল্প, মধ্য আর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজির আহমদ বলেন, এবারে ডেঙ্গু যে মাপে হয়েছে। তাতে বেশ বড় ঝুঁকি সামনে হতে যাচ্ছে। এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সাথে গুরুত্ব না দিলে, বিপদ বাড়বে।
প্রাথমিক ঝক্কি সামলে, এখন চলছে বিশেষ এলাকাগুলোতে জরিপের কাজ। এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সবরিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা হাসপাতাল থেকে তথ্য নিচ্ছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। সেই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ করবো।
ডেঙ্গু সন্দেহে এ পর্যন্ত ১৯২ টি মৃত্যুর তথ্য জমা পরেছে আইইডিসিআর এ এর মধ্যে ৯২ টি পর্যালচনা করে ৫৭ টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।