এমদাদের সাঙ্গপাঙ্গদের বাদীকে হুমকি

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জীবন-যাপন ঢাকা সারাদেশ

অন্য আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতংকে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাধিক মামলার আসামি, এলাকার ত্রাস, হত্যা-ধর্ষণ, ডাকাতি চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত এমদাদ হোসেন খান ওরফে এক চোখ কানা এমদাদ গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে আছে। মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানায় শাহনাজ পারভীন কেয়ার দায়ের করা মামলা নং ৮ এর এক নম্বর আসামী এমদাদ হোসেন ওরফে এক চোখ কানা এমদাদ। এমদাদ কারাগারে থাকলেও এখনও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এলকায় হুমকি ধুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বাদী শাহনাজ পারভীন কেয়ার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, প্রতিনিয়তো এমদাদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা নামে বেনামে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বিশেষ করে মামলার অন্য আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় বেশি আতংকে থাকতে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মামলার অন্যতম আসামি রুবেল সরদার এলকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বলে বেড়াচ্ছে পুলিশ আমার পকেটে থাকে। এই রুবেল সরদার সম্পর্কে আরও তথ্য বেড়িয়ে আসে অর্থাৎ কেঁচো খুঁড়তে অজগর বেড়িয়ে আসছে। রুবেল বিদেশ ফেরত হতাশাগ্রস্ত একজন যুবক। রুবেল সরদার এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে খুবই পরিচিত মুখ। রুবেল মটরসাইকেলে করে বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক দ্রব্য সরবরাহ করে থাকে। এলাকার লোখ মুখে শোনা যায় রুবেল সরদার পুলিশের সাথে সখ্য ঘরে তুলেছে। এবং কি এও নির্ভর তথ্য যোগ্য থেকে জানা যায় রুবেল সরদারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না, পুলিশের কাছে তথ্য দিতেও ভয় পায়। কারণ রুবেলের পিছনে কোনো অদৃশ্য শক্তি কাজ করে যাচ্ছে। শাহনাজ পারভীন কেয়ার মামলা থেকে জানা যায় রুবেল একজন জমি দখলদার ও ভূমিদস্যু এবং মাদক ব্যবসায়ী। ডাকাত এমদাদের অন্যতম সহযোগী রুবেল সরদার। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। রুবেলসহ মামলার অন্য আসামীরাও গ্রেফতার হলে হয়তো এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে। রুবেল সরদারের পিতাও তার ভাই শাহনাজ পারভীন কেয়ার মামলায় আসামি। রুবেল সরদারের পিতা মোতালেব সরদারও একজন গ্রাম্য ছেছরা চোর ও লম্পট নামে কুখ্যাতি রয়েছে। এবং কি রুবেল সরদারের ছোট ভাই এই মামলার অন্যতম আসামি আলামিন সরদার, সেও কম কুখ্যাতি অর্জন করেনি। প্রতিবেশি এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে এবং হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। পরে সমাজের চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। বিয়ের কিছু দিন পরে কৌশলে ঐ মেয়েকে তালাক দিয়ে দেয়। এই রুবেল সরদার ও তার ভাই মিলে এলাকায় অন্যের জমি দখল ও মালামাল লুটপাটের সাথেও জড়িত। এলাকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা দুষ্কৃতিকারীরা অচিরেই গ্রেফতার হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
শাহনাজ পারভীন কেয়ার মামলার এক নম্বর আসামি এমদাদ হোসেন ওরফে এক চোখ কানা এমদাদের অপরাধের পাহাড় গড়লেও, তেমন কোনো মামলা নেই। এমদাদ এলাকায় এমন আতংক তৈরি করে রেখেছে কেউ মামলা বা পুলিশের কাছে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তবে শাহনাজ পারভীন কেয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মামলা করায় এলাকার মানুষ কিছুটা হলেও সাহস পাচ্ছে। এমদাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ হত্যা মামলাসহ ডাকাতি চাঁদাবাজি একাধিক মামলা রযেছে বিভিন্ন জেলায়। কালকিনি থানার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের কাছে থেকে কিছু বিপরীত তথ্যও পাওয়া যায়, কিছু মানুষ বলে এমদাদ আমাদের এলাকায় চুরি ডাকাতি করে না, দূরে গিয়ে করে, তাতে আমাদের কি? তবে এলাকায় মাঝে মধ্যে ডাকাতির মালামালসহ আসে। শুনেছি বিভিন্ন জেলাতে তার বিরুদ্ধে হত্যা ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মাঝে পুলিশ আসে তার খোঁজে। বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের কাছে আতংকের নাম ডাকাত এমদাদ। মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার পুলিশ ও খাঁসেরহাট ফাঁড়ির পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে মামলার তালিকায় থাকা অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য।
কানা এমদাদের বিরুদ্ধে স্নানঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষার্থীকে প্রাণ নাশের হুমকির তথ্য পাওয়া যায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দিবালোকে ঐ দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার উদ্দেশ্য আক্রমণ করতে গিয়েছিলো। তখন ঐ দুই শিক্ষার্থী ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে। এখন তাদের আতংক কাটেনি। তারা এখনও স্বাভাবিক পড়াশোনা চালাতে পারছেনা। এই দুজন স্কুলের শিক্ষার্থী নাম বলতে অনিচ্ছুক। কারণ এমদাদ হোসেন ওরফে এক চোখ কানা এমদাদ যে কোন সময় জামিনে মুক্ত হয়ে বেড়িয়ে আসতে পারে, তখন কি হবে? কেন জানি এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী মানুষ এই কানা এমদাদ সহ আসামিদের আশ্রয় দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের জন্ম দিচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে তৎপর রয়েছে অচিরেই সন্ত্রাসীদের বিষ দাঁত যাবে। তবে আরও একটু বেশি তৎপর থাকলে মাদক সন্ত্রাসীরা কারাগারে থাকবে বলে মনে করে সাধারণ মানুষ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *