নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গত এক দশকে রেলওয়েকে ঢেলে সাজাতে এবং একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে বহু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। রেলওয়েকে জনগণের কাছে নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যহত রাখা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে দেশের প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটিনারী ও সাব-স্টেশন) প্রবর্তনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সমীক্ষা প্রস্তাব পুনর্গঠন করে ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে সবচেয়ে বড় গণপরিবহন। সরকারি সংস্থা হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে পরিকল্পনা প্রণয়নের চেয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য সেবা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় এনে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সেজন্য ১৯৯২ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি।
একই প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের রেলওয়ে ব্যয় ছিল ৩ হাজার ১১৫ কোটি, অন্যদিকে আয় ছিল এক হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। আয়ের তুলনায় এক হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে। গত ২৬ বছরে মাত্র দুইবার রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরফলে আয়-ব্যয়ের পার্থক্য পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।