এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ৩ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন- রাজউকের অথোরাইজড অফিসার সৈয়দ নাজমুল হুদা, ইমারত পরিদর্শক মাহবুব হোসেন সরকার ও নজরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ দিন তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। অপর দিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধীতা করেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হওয়ার পর ওই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয় বেরিয়ে আসে। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড।
নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটিতে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে গত ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯তলা থেকে ২৩তলা করা, ওপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেয়া ও বিক্রি করার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
অপর মামলায় এফআর টাওয়ারের ১৫তলা পর্যন্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮তলা পর্যন্ত বাড়ানোর অভিযোগ করা হয়।
১৯৯০ সালে ১৫তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে অনুমতি নেয় এফআর টাওয়ার কর্তৃপক্ষ। পরে সেই একই নকশা দেখিয়ে ১৯৯৬ সালে ১৫তলার জায়গায় ১৮তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেয়া হয়। তবে দুদকের মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ওই অনুমোদন দেয়ার বিষয়টিও ছিল ‘অবৈধ’।