নিজস্ব প্রতিবেদক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উড়োজাহাজটি ঢাকা এসে পৌঁছেছে। শনিবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছার কথা থাকলেও সেটি ৪টা ৪৪ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজহংসের দেশে আসার কথা ছিল। সেই দিনক্ষণ দুইদিন পিছিয়ে আজকের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। দেশে পৌঁছার পর ড্রিমলাইনারটি ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাজহংস চালিয়ে আনেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন সিদ্দিক।
উড়োজাহাজটি দেশে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে গিয়েছিলেন। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ড্রিমলাইনারটি উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানের মুখপাত্র তাহেরা খন্দকার।
একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে ড্রিমলাইনার। এটি চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানি কম লাগে। অন্য তিনটি ড্রিমলাইনারের মতো ‘রাজহংসর আসনসংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।
২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার জন্য চুক্তি করে বিমান। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমানবহরে যোগ হয়েছে। সবশেষ উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ আসার মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির ১০টি উড়োজাহাজের সবই বুঝে পাবে বিমান।
বিমানের ১০টি বোয়িংয়ের মধ্যে আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস নামে চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত নামে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী নামে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ নামও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।