নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্যার কারণ দেখিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানির মূল্য প্রায় তিনগুণ বাড়িয়েছে ভারত। গত দুই মাসের ব্যবধানে দু’দফায় এই মূল্য বাড়িয়ে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করায় বিপাকে পড়েছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
তবে নতুন মূল্যের এই পেঁয়াজ দেশে আসতে এখনও দুই-তিনদিন সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে বাংলাদেশে বিক্রি করা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, এরপর থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা কোনো রপ্তানি মূল্য ছাড়াই ১৫০-২০০ ডলার মূল্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতেন। ফলে বন্দরের ব্যবসায়ীরা ১৫-২০ টাকা করে পাইকারি মূল্য পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন। গত দুই মাস থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৩৫০-৪০০ ডলারে বৃদ্ধি করলে ৩২-৩৬ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়।
জানা যায়, ভারতের মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এবার এসব অঞ্চলসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যায় পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এজন্য ভারতজুড়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। গত দুই মাস থেকে ৩৫০-৪০০ ডলারে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করা হচ্ছিল। সর্বশেষ গত বুধবার আবার বাংলাদেশে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে ৮৫২ ডলার করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। তবে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০-৫০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, ভারত থেকে ৩৫০-৪০০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছিল। তাতে বন্দরের মোকামে পেঁয়াজের প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছিল ৩২-৩৬ টাকায়। গত বৃহস্পতিবার আবার প্রতি কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকায়। ৮৫২ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে প্রতি কেজিতে ৭২ টাকার মত পড়বে। এ কারণে পেঁয়াজ আমদানি করা নিয়ে ব্যবসায়ীরা সবাই চিন্তাগ্রস্ত।
মোবারক আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কিছু পেঁয়াজের এলসি মূল্য ৪০০ ডলারে করা আছে। সেই পেঁয়াজ আজ শনিবার আমদানি করা হচ্ছে। রোববার নতুন রপ্তানি মূল্যের পেঁয়াজ আমদানি করতে ব্যাংকে এলসি করা হবে। হয়ত এ দিন থেকেই নতুন মূল্যের পেঁয়াজ দেশে ঢুকবে। এতে করে সাধারণ ক্রেতাদেরও বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হবে।