ছাত্রদলের নেতাদের মামলার কারণেই কাউন্সিল বন্ধ : কাদের

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রদল নেতাদের মামলার কারণেই তাদের কাউন্সিল বন্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবসের’ আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রদলের নেতাদের মামলার কারণে তাদের কাউন্সিল বন্ধ হলো। তারাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলো, মামলা করে সম্মেলন বন্ধ করে দেয়া হলো। এখানেও নন্দ ঘোষ শেখ হাসিনার দোষ, এখানেও নন্দ ঘোষ আওয়ামী লীগের দোষ। নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে মামলা করে সম্মেলন পণ্ড করেছে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের দোষ কী?

আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল। এই কাউন্সিলের ওপর গত ১২ সেপ্টেম্বর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কেন ছাত্রদলের সম্মেলন বন্ধ করতে যাবে? ছাত্রদলের এ সংকটের জন্য বিএনপির নেতৃত্ব দায়ী। বিএনপির আজকের সংকট তাদের নিজেদের ব্যর্থতার জন্য। তাদের বিদ্বেষপ্রসূত রাজনীতি, তাদের নেতিবাচক রাজনীতি, বিএনপিতে সংকট তৈরি করেছে।

এ সময় শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনই বিরোধী রাজনীতির জন্য সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন দেখলে এই দেশে অনেকের আঁতে ঘা লাগে, যন্ত্রণা শুরু হয়। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন ও তার অপ্রতিরুদ্ধ অগ্রযাত্রা বাংলাদেশের বিরোধী রাজনীতির জন্য সংকটের কালো ছায়া নেমে এসেছে।

সরকারদলীয় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারের অনেক মন্ত্রী দুদকে হাজিরা দিচ্ছেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী জেলে আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই এসব সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দলের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা সাংবাদিকতা করেন, আমিও আপনাদের অগ্রজ। আপনারা আজকের এমন একটি সুন্দর অনুষ্ঠানকে পত্রিকার শিরোনাম রাজনৈতিক করার জন্য ভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা প্রাসঙ্গিক না কেন? আজকের যেই অনুষ্ঠানে এসেছি তাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। মন্ত্রিত্ব চলে গেলে আমি আবার সাংবাদিকতায় আসব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভার আগে ৫০০ জন মাওলানার কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *