জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেওয়ায় প্রবৃত্তিই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধান শক্তি—ঢাদসিক প্রনিক ফরিদ আহাম্মদ

Uncategorized অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেয়। তাদের এই মানবিক প্রবৃত্তিই দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (প্রনিক) ফরিদ আহাম্মদ।

ঢাদসিক প্রনিক ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “আমাদের দেশের জনগণের একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রবৃত্তি রয়েছে। তারা যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্গতদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন এবং দুর্ভোগ লাগবে তাদের পাশে দাঁড়ান। এ ধরনের চিত্র পৃথিবীর খুব কম দেশেই দেখা যায়।”

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বাস্তবায়িত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (ডিডিএম পার্ট) আওতায় ‘প্রশিক্ষণ বিষয়ক অহিতকরণ কর্মশালায় (Training Inception Workshop)’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্রমাগত সাফল্য দেখিয়ে চলেছে উল্লেখ করে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “পৃথিবীর অনেক দেশেই দুর্যোগ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কোনও পলিসি, বিধি-বিধান নেই। সেই হিসেবে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে আছে।দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাস্টার (এসওডি)’ শীর্ষক একটি স্ট্যটিক পলিসি প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের এই পলিসি ডকুমেন্টে দুর্যোগ-পূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বিভাগ, কমিটি — কার কী দায়িত্ব তা সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। সেখানে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন কী করবে, বিমান-নৌ-সেনাবাহিনী কী করবে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বাবলী কী কী এবং সামরিক প্রশাসনের সাথে বেসামরিক প্রশাসন কিভাবে সমন্বয় করবে তার সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা উল্লেখ করা হয়েছে।”
দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও বেশি সক্ষমতা অর্জনে করপোরেশনের কাউন্সিলরদের জন্যও প্রশিক্ষণ আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “এসওডি অনুযায়ী করপোরেশন এলাকায় সিটি করপোরেশনের মেয়র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সকল জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এই কমিটির সদস্য এবং আমাদের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডভিত্তিক দুুুুুুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। যেহেতু কাউন্সিলররা জনপ্রতিনিধি এবং তাদের জনসম্পৃক্ততা অনেক বেশি। তাই, তাদের জন্যও যদি কোনও ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যায় তাহলে দুর্যোগ মোকাবিলা আরও বেশি ফলপ্রসূ হবে। প্রকল্প পরিচালক ড. এটিএম মাহবুব-উল করিমের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান ও প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ বক্তব্য রাখেন।
সিটি করপোরেশন জরুরি সেবাপ্রদানকারী সংস্থা এবং ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সিটি করপোরেশন অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে বলে বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এবং ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, সিলেট সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রদান করা হবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
কর্মশালায় করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *