মোঃ রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার যোগানীয়া, নড়াগাতী ও পুটিমারী বাজারে প্রভাবশালীদের ছত্রছাঁয়ায় উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী খাস জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বহুতল ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যার কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। যোগানীয়া বাজারের কথিত মানবাধিকার কর্মী মোঃ শহিদুল ইসলামের জোর পূর্বক রাস্তার পাশে সরকারী জমিতে ঘর ওঠানোর অভিযোগ পেয়ে ৭ মে (শনিবার) সকালে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ওই বাজারে বন্দোবস্ত ছাড়া অসংখ্য দোকানঘর রয়েছে। এমনকি দোতলা ভবনও তুলেছেন মালেকা বেগম নামে এক অবঃ সেনাবাহী কর্মকর্তা কালু কাজীর স্ত্রী এবং কয়েকটি দোকান তুলে ভাড়াও দিয়েছেন তিনি। তার ছেলে জানান,নায়েবকে ম্যানেজ করে তারা এ পাঁকা ভবন তুলেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেকে অবগত করলে গত (১০ মে) মঙ্গলবার কালিয়া ভূমি অফিসের সর্ভেয়ার মোঃ আজগর আলী সরেজমিনে মেপে ওই সকল দোকানপাট ও ভবন সরকারী জমিতে অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে
বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান,ওই বাজারের রেজোয়ান মাষ্টারের সেমী পাঁকা দোকানঘর ও গনপতি মাষ্টারের টিনের দোকানঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে, মোস্তাফা গাজী ও আলম গাজী নামে দুই ভাই চায়ের দোকান তুলে নিজেরাই ব্যবসা করছে। এছাড়া বাজারের ভিতরে কোন বন্দোবস্ত ছাড়াই ভূয়া মেজর পরিচয়দানকারী একাধিক মামলার আসামী আব্দুর রহিম ওরফে দবির নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির রয়েছে দুটি সেমী পাঁকা দোকানঘর। তবে গনপতি মাষ্টার হাল রেকর্ডের কাগজ আছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এদিকে,পুটিমারী বাজারের ভুমি দস্যুর নিউজ হলেও আজও দখলমুক্ত হয়নি সরকারী জমি। বাঐসোনা ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ কামরুল ইসলাম জানান,এত বড় বাজারে একটি পাবলিক টয়লেট না থাকায় বরাদ্দ এনেও অবৈধ দখলদারদের কারণে জায়গা না পাওয়ায় নির্মান করা সম্ভব হয়নি টয়লেট। স্থাণীয় সচেতন মহলের দাবী দ্রুত এধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পূর্বক সরকারী সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হোক। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।