নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগের মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে হাজারো মানুষ ও পরিবারকে।
শুক্রবার ৮ জুলাই, বাংলাদেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের সহায়তায় দায়িত্বশীল গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে এগিয়ে এসেছে ইমো। প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যাকের সাথে যৌথ উদ্যোগে বন্যা প্লাবিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী ও ডোনেশন সহায়তা দেয়ার জন্য ‘ডাকছে আমার দেশ’ ক্যাম্পেইনে সম্পৃক্ত হয়েছে।
ইমো ও ইমো ব্যবহারকারীরা ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগের মাধ্যমে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইমো বাংলাদেশের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানা বলেন, “ভয়াবহ এ বন্যায় যে সব মানুষের ঘর, দোকান, আবাদী জমি ও গৃহপালিত পশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ব্র্যাকের মতো মহৎ প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি। পুরো পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগবে; তবে, এ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় গতি এনে ক্ষয়ক্ষতির ধকল কাটিয়ে উঠতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি।”
এ নিয়ে ব্র্যাকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা তুষার ভৌমিক বলেন, “বন্যায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অনুধাবন করে ৫০ হাজারেরও বেশি বন্যাদুর্গতদের মাঝে প্রয়োজনী সামগ্রী পৌঁছে দিতে ব্র্যাক পুনরায় তাদের ডাকছে আমার দেশ ক্যাম্পেইনটি চালু করে। এ সঙ্কটকালীন মুহুর্তে জনপ্রিয় তাৎক্ষণিক মেসেজিং অ্যাপ ইমো অর্থ সহায়তা দিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে। এটি অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও অনুকরণীয় হবে বলে আমরা মনে করি।”
‘ডাকছে আমার দেশ’ এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রায় ৬০ হাজার পরিবার শুকনো খাবার, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছেন। পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে ৭ হাজার ৮শ’ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ৪০ হাজার পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। জরুরি সহায়তা হিসেবে এ প্রোগ্রামটি খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ খাবার পানি, স্যানিটেশন সুবিধা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, ডিগনিটি কিট, পশুদের খাবার এবং অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। এটি বাংলাদেশের উত্তর- পূর্বের জেলাসমূহে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যার জন্য ইউএন হিউমেনিটারিয়েন কো-অর্ডিনেশন টাস্ক টিম ( এইচসিটিটি) রেসপন্স প্ল্যান ( জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২) অনুসরণ করে সহায়তা প্রদান করা হয়। এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে https://brac.net/dakcheamardesh/en/
এ যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি, ইমো বন্যাদুর্গতের ত্রাণ ও অনুদান সংগ্রহের বিষয়টিকে ত্বরাণ্বিত করতে ‘বাংলাদেশ রিলিফ’ নামের একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালু করেছে।
গত মাসের ২৩ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ইমো ব্যবহারকারীদের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্র্যান্ডটি ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১২,৮৫১ মার্কিন ডলার উত্তোলন করেন।
এর আগে, সিলেট বিভাগের ইমো ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি টাকা সমমূল্যের ফ্রি-ডেটা ডোনেশন ক্যাম্পেইন চালু করে। দেশের বিভিন্ন প্রতিকূল সময়ে অবদান রাখার মাধ্যমে নিজেদের একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে ইমো। এ অনুদান ক্যাম্পেইনটি বন্যায় প্লাবিত অঞ্চলগুলোর দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ ও সমাজের প্রতি ব্র্যান্ডটির দায়বদ্ধতাকে ফুটিয়ে তুলেছে।
ইমো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানি পেজবাইটস ইনকর্পোরেশনের মালিকানাধীন ইমো একটি গ্লোবাল ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য সবচেয়ে সুবিধাজনক, ইন্টারেক্টিভ এবং মজাদার উপায়ে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়া।
সহজ অডিও এবং ভিডিও কমিউনিকেশন সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ইমো বিশ্বব্যাপী ১৭০টিরও বেশি দেশে ৬২টি ভাষায় ২০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীদের সংযুক্ত করেছে। দূরত্ব ও সীমানা ভেঙে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইমো।