অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্ত্র মহড়া, নগদ অর্থ ও স্বর্ণ লুটপাটের অভিযোগ

Uncategorized অপরাধ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ঃ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পালিত কিশোর গ্যাং। তেমনি এক কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্র মহড়া ও ঘর বাড়ি হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন দক্ষিন পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ায়।
এলাকায় মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় পরদিন দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়েছে উক্ত এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দানকারী দুই সহোদর ভাই মুন্না ও আশিকসহ তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সাজ্জাদ ও রাহী’র কাছ থেকে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে এলাকার ময়দান মাঠে ফুটবল খেলা চলাকালীন এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত আশিক ও তার বন্ধুদের মাঠের কোনে বসে সিগারেট খেতে নিষেধ করেছিল রাহী ও সাজ্জাদ । আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পরে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় আশিক ও তার বন্ধুরা।

পরদিন গত শুক্রবার (১লা জুলাই) সন্ধ্যায় এলাকার দুই সহোদর মুন্না ও আশিক বহিরাগতদের নিয়ে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাজ্জাদ ও আশিককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলাকায় মহড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার সিসিটিভির ফুটেজে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় একদল কিশোর ধারালো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে মারমুখী হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

সাজ্জাদের খালা জানায়, সাজ্জাদ ও রাহীকে বাড়িতে না পেয়ে পরদিন মধ্যরাতে সাজ্জাদের বাড়ি ভাংচুর করে নগদ অর্থ সহ স্বর্ণ লুটপাট করে মুন্না ও আশিকসহ তার দলবল।
এদিকে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক প্রতিবেশীর দাবি স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় মুন্না ও আশিক দুই ভাই দীর্ঘদিন এলাকায় নানাভাবে অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।তারা দুই সহোদর মাদকের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত। তারাই সেদিন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
আরেক প্রতিবেশীর দাবি এ অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া ও হামলা, লুটপাটের ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে একটি প্রভাবশালী মহল।

জানা গেছে এ ঘটনায় নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সরাসরি মামলা দায়ের করতে চায়লে মামলা নিতে অপারগতা জানায় থানা পুলিশ। তবে অভিযোগের বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান এখনই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন এই সব বিষয়ে ব্যাবস্থা না নিলে যে কোন সময় আবারও ঘটতে পারে বড় ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনা।
এ নিয়ে শংকায় রয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত এলাকার জনপ্রতিনিধি ও মহল্লার সিনিয়র ব্যাক্তিবর্গের মধ্যস্থতায়
দুপক্ষের সমজোতায় এ ঝামেলার পরিত্রান হবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *