মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে হত্যা চেষ্টা মামলার বাদিকে কোর্ট চত্বরে হামলার চেষ্টা,দেশীয় অস্ত্রসহ ২টি (বাইক)
মোটরসাইকেল পুলিশের হাতে আটক,হামলার চেষ্টাকারী’রা পলাতক। নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের বুড়িখালী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিজান ভূইয়া গ্রুপ ও আয়ুব গ্রুপের মদ্ধে দির্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এদিকে,বিরোধের জের ধরে একাধীক বার হামলা মামলা হলে নড়াইল সদর থানার সাবেক ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৌকত কবীর দুই গ্রুপকে থানায় হাজির করে শান্তি মিমাংসা করে হাতে হাত,বুকে বুক মিলেয়ে দেন,কিন্তু এ শান্তি মিমাংসা মেনে নেন নি,মিজান ভূইয়াসহ তার সহযোগী’রা। তারই ধারাবাহীকতায় মিজান ভূইয়াসহ তার সহযোগী’রা রোমান ভূইয়া হত্যা চেষ্টা মামলার বাদি তায়েব ভূইয়া ও আয়ুব ভূইয়া কে হামলা করার উদ্দেশে নড়াইল কোর্ট চত্বরে হকইস্টিক ও লোহার সাবল নিয়ে ঘোরা ফেরে করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে কোর্ট চত্বরে উপস্থিত হলে দূর্বিত্ত’রা নিজেদের মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। যানা যায়,নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের বুড়িখালী গ্রামের ইনায়েত ভূইয়ার ছেলে তায়েব ভূইয়া বাদি হয়ে গত ২০/৫/২০২২ তারিখে নড়াইল সদর থানায় মৃত মোবারক ভূইয়ার ছেলে মিজান ভূইয়া সহ ১৪ জন কে আসামি করে,হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে নড়াইল সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে,যার মামলা নং-২৪। (১৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার এ হত্যা চেষ্টা মামলার বাদি নড়াইল কোর্টে হাজির হলে,কোর্ট চত্বরে মামলার ১নং আসামি মিজান ভূইয়া,২নং আসামি শরিফুল ভূইয়াসহ দুর্বিত্ত’রা মামলার বাদি তায়েব ভূইয়া ও আয়ুব ভূইয়াকে নড়াইল কোর্ট চত্বরে হকইস্টিক ও লোহার সাবল দিয়ে হামলা করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নড়াইল সদর থানার পুলিশ দ্রুত কোর্ট চত্বরে হাজির হলে,পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি মিজান ভূইয়া,শরিফুল ভূইয়াসহ দুর্বিত্ত’রা নিজেদের ব্যবহিত একটি অ্যাপাসী ও একটি হাং মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ একটি অ্যাপাসি,একটি হাং মোটরসাইকেলসহ একটি হকইস্টিক ও একটি লোহার সাবল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নড়াইল সদর থানার এস আই জাহিদ এ ঘটনার সত্যতা শিকার করে এ প্রতিবেদক কে জানান,খবর পাই কোর্ট চত্বরে ছেলেপেলে হকইস্টিক নিয়ে ঘোরাফেরা করছে,তাৎখনিক কোর্ট চত্বরে উপস্থিত হলে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় দূর্বিত্ত’রা,এসময় একটি অ্যাপাসি,একটি হাং মোটরসাইলসহ একটি লোহার সাবল ও একটি হকইস্টিক উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি বলে জানান।
