মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার শিংগাশোলপুর ইউনিয়নের নলদিরচর গ্রামের ম্যাগনেট নামের টক্কর সাপ ব্যবসায়ী মো:নিলু খান ও মো:জুয়েল শেখ টক্কর সাপ এর টাকা সফিকুল কে না দিয়ে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা চেষ্টা করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। খুলনার তেরখাদা ইউনিয়নের পানতিতা গ্রামের সফিকুল ইসলাম মল্লিক অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন,আমাকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা চেষ্টা করে,নিয়ামত খান এর ছেলে,মো:নিলু খান ও কবির শেখ এর ছেলে মো: জুয়েল শেখ। টক্কর সাপের অবৈধ ব্যবসা করার জন্য গ্রামের নিরিহদের কে কাজে লাগিয়ে এ অবৈধ ব্যবসা করে আসছে এ দুই অবৈধ ব্যবসায়ী বলে দাবীকরে ভুক্তোভোগী সফিকুল। ভুক্তভোগী অসহায় সফিকুল ইসলাম মল্লিক এ প্রতিবেদক কে আরো জানান,নলদিরচর গ্রামের মো:নিলু খান ও মো:জুয়েল শেখ আমাকে খড়রিয়া গ্রামের মাসুদ এর থেকে টক্কর সাপ এনে দিতে ২০ লাখ টাকার প্রলভোন দেখায় এবং
খররিয়া গ্রামের মাসুদকে ৫ লাখ টাকা দিবে বলে টক্কর সাপ আনতে বলে,পরে মাসুদসহ,মো:নিলু খান ও মো: জুয়েল শেখকে নিয়ে মোস্তরহাট এলাকায় পৌছে দিতে আসলে আমাকে প্রথমে ফিজআপ ও পরে সিগারেট আনতে বল্লে আমি ফিজআপ ও সিগারেট আনলে আমাকে ফিজআপ খেতে বল্লে আমি ফিজাপ খাই এবং ফেজআপ খাওয়ার পরে আমার হঠাৎ করে চোখ মুখ দিয়ে অন্ধকার দেখি এবং আমি অচেতন হয়ে পড়ি। ফিজআপের মধ্যে কীটনাশক দিয়ে আমাকে হত্যা চেষ্টা করে,পরে আমাকে অচেতন অবস্থায় মোস্তরহাটের লোকজন উদ্ধার করে মোস্তরহাটের স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেয় এবং পরে আমার স্বজনদের দিয়ে আমাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং আমি দুই দিন পরে একটু সুস্থ হয়। এখনো আমি অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে। এদিকে,জানা যায় গত (১৬ জুলাই) রবিবার ৪ ঘটিকার সময় কড়োলা ইউনিয়নের মোস্তরহাট এলাকা থেকে সফিকুল ইসলামকে একটি ফিজআপ পানিও আনতে বলে মো:নিলু খান ও জুয়েল শেখ,এসময় সফিকুল ইসলাম ফিজআপ আনলে আবারও তাকে সিগারেট আনতে বলে এবং সিগারেট আনতে গেলে ফিজআপ এর মদ্ধে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে হত্যার চেষ্টা করে ও টক্কর সাপের কন্টাকের টাকা না দিয়ে টক্কর সাপ বহনকারী খড়রিয়া গ্রামের মাসুদ এর থেকে একটি টক্কর সাপ নিয়ে মো:নিলু খান ও মো:জুয়েল শেখ পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে গত (১৯ জুলাই ) রাতে নড়াইল সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন,ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম মল্লিক বলে জানান। সফিকুল ইসলাম মল্লিক এর শাশুড়ি সেলিনা বেগম জানান,আমার মেয়ে জামাই এর অসুস্থতার খবর পেয়ে মোস্তরহাট গিয়ে দেখি মেয়ে জামায় সফিকুল অচেতন অবস্থায় রয়েছে,সাথে সাথে স্থানীয়দের নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এ বিষয়ে শিংগেশোলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ জানান,নলদিরচর গ্রামের সফিকুল ইসলামকে একই গ্রামের নিলু খান ও জুয়েল শেখ টক্কর সাপ বেচা কেনাকে কেন্দ্র করে কীটনাশক বিষ খাইয়ে হত্যা চেষ্টা করে বলে খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে যায় এবং সফিকুল আমাকে এ ঘটনার বিষয়ে সব খুলে বলে বলেও জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিলু খান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কথা হলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন এবং জুয়েল শেখ এর মুঠোফোনে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নলদিরচরের স্থানীয় গ্রামবাসি জানান,টক্কর সাপ এর ব্যবসা মানেই অবৈধ ব্যবসা,এসব অবৈধ ধান্দাবাজি ব্যবসা যারা করে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক,নাহলে জেলার অসহায় মানুষ অবৈধ ব্যবসায়ীদের টাকার লোভে পড়ে সর্বকিছু হারাবে বলেও জানান।