নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদরদপ্তর ও শাহমখদুম থানা কম্পাউন্ডে অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, সাইবার ক্রাইম ইউনিট, অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার ও সিআরটির কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন।
রবিবার ২৪ জুলাই, সকাল সাড়ে ১১ টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আরএমপি সদরদপ্তরে পোঁছিলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো: আবু কালাম সিদ্দিক রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে সাথে নিয়ে তিনি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত নারী পুলিশ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সার্বিক কার্যক্রম তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের আগমন উপলক্ষ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদরদপ্তর কনফারেন্স রুমে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো: আবু কালাম সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সভা শেষে আরএমপি’র বিভিন্ন কাযক্রমের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ডকুমেন্টারিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, হ্যালো আরএমপি অ্যাপ, অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার, কিশোর গ্যাং এর ডিজিটাল ডাটাবেজ এবং সিআরটি-সহ আরএমপি’র বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। পরে পুলিশ কমিশনার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে আরএমপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আরএমপি সদরদপ্তর ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন শেষে দুপুর ১ টায় আরএমপি পুলিশ লাইন্স-এ আরএমপি’র ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) এবং বোম ডিস্পোজাল টিমের বিভিন্ন কার্যক্রম ও উপকরণ পরিদর্শন করেন।
পরবর্তীতে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে তিনি আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং এই ইউনিটের সদস্যদের ”Investigating the Dark Web” ট্রেনিং-এর সনদপত্র বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, জঙ্গীবাদ দমন-সহ সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) গঠন করেছে ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি)। বিশেষ টিম সোয়াটের আদলে ৩৩ সদস্য নিয়ে এই টিম গড়ে তোলা হয়েছে।
যে কোন সংকটময় পরিস্থিতিতে সাহসিকতা নিয়ে অভিযান পরিচালনা ছাড়াও জঙ্গীবাদ দমন ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনার জন্য মাঠে কাজ করে আসছে সিআরটি। ইতিমধ্যে আরএমপি সিআরটি আমেরিকান দূতাবাসের তত্বাবধানে জর্ডান থেকে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছে।
এছাড়াও ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, অপরাধী গ্রেফতার ও সাইবার অপরাধ দমন এবং ডিজিটাল মামলা-সহ অন্যান্য মামলার রহস্য উদঘাটন ও বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে আরএমপিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগরীকে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার গঠন করে রাজশাহী নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাসিস্ট্যান্স (এটিএ), ইউএস অ্যাম্বাসি, ঢাকার তত্ত্বাবধানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও আরএমপি’র সিআরটি সদস্যদের দক্ষ করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে।