কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে বর্তমানে দু ধরণের অত্যাধুনিক এন্টিশীপ/সার্ফেস টু সার্ফেস মিসাইল রযেছে। আমাদের ব্যবহৃত সর্বাধিক পাল্লার মিসাইলগুলো হল চীনের তৈরী C-802A এবং ইতালির তৈরী OTOMAT MKII এন্টিশীপ মিসাইল। এর মধ্যে C-802A এর রেন্জ সর্বোচ্চ ১৯০ কিঃমি পর্যন্ত এবং OTOMAT MKII মিসাইলের রেন্জ ২১০ কিঃমি পর্যন্ত।
আমাদের ৩টি ফ্রিগেট বাদে প্রায় প্রতিটি ফ্রিগেটেই রয়েছে C-802A মিসাইল। এছাড়া সদ্য সংযোজিত কর্ভেটগুলোতেও C-802A মিসাইল দ্বারা সংযোজিত। অন্যদিকে বাংলাদেশের হাতে থাকা সর্বোচ্চ পাল্লার মিসাইল OTOMAT MKII BLOCK IV রয়েছে আমাদের ফ্ল্যাগশিপ ফ্রিগেট বানৌজা বঙ্গবন্ধু তে। একসময় এত রেন্জ পর্যন্ত মিসাইল গাইড করার ডাটা লিংক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে ছিলনা, কিন্তু এখন আর সেইদিন নেই। বর্তমানে নৌবাহিনী মিসাইলের ফুল রেন্জ সঠিকভাবে ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
এই দুই মিসাইল ব্যবহার করার ফলে সেন্টমার্টিনে অবস্হানরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজের মিসাইল রেন্জের আওতায় চলে আসে মায়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর Sittwe পোর্টসহ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞল।ভৌগোলিকভাবে সেন্টমার্টিনের অবস্থান মায়ানমারের অনেকটা কাছে হওয়ায় আমরা বাড়তি রেন্জের সুবিধা পাচ্ছি। আর তাই মায়ানমার বরাবরই এই দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ঝামেলা বাঁধাতে মুখিয়ে থাকে। কারণ সেন্টমার্টিন মায়ানমারের দখলে চলে গেলে, নিয়মানুযায়ী সমুদ্রসীমাও কমে আসবে আমাদের।অন্যদিকে মায়ানমার নৌবাহিনীর হাতে সর্বাধিক পাল্লার মিসাইল রয়েছে চীনের তৈরী C-802 মিসাইল যার রেন্জ ১২০ কিঃমি। যার কারণে নৌবাহিনীর সক্ষমতার বিচারে মায়ানমার পিছিয়ে পড়েছে।ছবিতে সেন্টমার্টিন হতে মায়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে থাকা সার্ফেস টু সার্ফেস মিসাইলের রেন্জ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।