বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৩.২২১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ২,০০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

Uncategorized আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ২২,১০,৫০,০০০ (বাইশ কোটি দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যমানের ৩.২২১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ২,০০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সোমবার ২৫ জুলাই, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১২ হতে আনুমানিক ৩৫০ মিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে খরেরদ্বীপে নাফ নদীর তীরে জঙ্গলের ভিতর বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারীরা লুকিয়ে রেখেছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদর হতে অধিনায়ক এর নেতৃত্বে দুই’টি বিশেষ টহলদল আনুমানিক সকাল ১০ টায় উল্লেখিত দ্বীপে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা শুরু করে। উক্ত দ্বীপে টহলদল প্রায় ৪ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করার পর দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে চোরাকারবারীদের একটি গোপন আস্তানা খুঁজে পায়।

আনুমানিক দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে উক্ত আস্তানায় একটি গাছের গোঁড়ায় বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ৩.২২১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক সিজার মূল্য ২২,১০,৫০,০০০ (বাইশ কোটি দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা।

পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত আস্তানায় ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।
তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *