মে:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে ভুলে ভরা জেলা যুব মহিলা-লীগের সম্মেলন,আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়ক ছাড়ায় বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। গত (২৫ জুলাই) সোমবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা অডিটরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে যুব মহিলা আওয়ামী-লীগৈর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আক্তার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা শর্মী উপস্থিতিতে এ সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে,মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না,নড়াইল জেলা যুব মহিলা-লীগের আহবায়ক নাছিমা রহমান পলি ও যুগ্ম আহবায়ক সুইটি বিশ্বাস। শিক্ষা শান্তি প্রগতি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শুরুতে শিল্পকলা চত্বরে পতাকা উত্তোলণের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন,যুব মহিলা-লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আক্তার। একাডেমিতে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন,প্রধান অতিথি নড়াইল জেলা আওয়ামী-লীগের সভাপতি এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস,প্রধান বক্তা যুব মহিলা-লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা শর্মী, বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু প্রমুখ। সম্মেলনে জেলার তিনটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুব মহিলা-লীগের নেতাকর্মী’রা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সম্মেলন শেষ হলেও নতুন কমিটির ঘোষনা দেননি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ,খুব শীর্ঘ্রই কেন্দ্র হতে জেলা মহিলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে। বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। সম্মেলনের ব্যানারেও সভাপতির নাম লেখা ছিলো না। কেন সম্মেলনে তিনি উপস্থিত ছিলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে নাছিমা রহমান পলি বলেন,সম্মেলনের ব্যাপারে আমাকে এবং যুগ্ম আহবায়ক সুইটি বিশ্বাসকে কোন কিছুই জানানো হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন,তিনটি উপজেলাতে যুব মহিলা-লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা শর্মী ও নড়াইল জেলা আহব্বায়ক কমিটির সদস্য সঞ্চিতা হক রিক্তা মিলে কমিটি করেছে,সেখানেও আমাদেরকে ডাকা হয়নি,কি কারনে আমাদেরকে বাদ রেখে এগুলা করছে তাও বোধগম্য নয়। আমাদের কোন ভুল থাকলে আমাদেরকে জানাতে পারতেন বলেও জানান। যুগ্ম আহবায়ক সুইটি বিশ্বাস জানান,আমি ২৫ তারিখ এর সম্মেলনের বিষয়ে কিছুই জানিনা এবং সম্মেলনের বিষয়ে সংগঠন থেকে আমাকে কোন চিঠি বা এসএমএস দেয়া হয়নি এই জন্য আমি না জানার কারনে উপস্থিত ছিলাম না। জেলা যুব মহিলা-লীগের সম্মেলনের ব্যানারে সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা’র নাম প্রদবি ব্যানারের ৬ নাম্বারে এবং মেয়র আন্ঞ্জুমান আরা’র নামের নিচে এমপি সাহেবের নাম দেয়ায় শোসাল মিডিয়া ফেসবুকে নিন্দার ঝড় তোলেন ম্যাশ ভক্ত ও ম্যাশ প্রেমী’রা। ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তী জানান,একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক সম্মেলনের ব্যানারে যদি এমন অবস্থা হয়,তাহলে এসকল নেত্রী’রা কেমন নেত্রীত্ব দিবেন বোঝা বড় দায়।