মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বাকসাডাঙ্গা গ্রামের প্রবাসী শহর আলী’র স্ত্রী সোনালী বেগম ও একই গ্রামের মোতালেব মোল্যা’র ছেলে প্রেমিক শামীম মোল্যাকে প্রেমিকা সোনালী বেগম গত (২৫ জুলাই ) সোমবার রাতে প্রেমিক শামীমকে প্রেমিকার স্বামির নিজ বাড়িতে ডেকে এনে কিটনাশক খায়ীয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যানা যায়,শামীম মোল্যা,নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বাকসাডাঙ্গা গ্রামের,মোতালেব মোল্যা’র ছেলে তিনি গরু কেনা বেচার ব্যবসা করেন, বলে জানা যায়। সরজমিনে গিয়ে যানা যায়,গত (২৫ জুলাই ) সোমবার প্রেমিক শামীম গরু কেনা বেচা করে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়িতে আসে এবং শহর আলী’র স্ত্রী প্রেমিকা সোনালী প্রেমিক শামীমকে মোবাইল ফোনের মাদ্ধমে ফোন করে নিজের ঘরে ডাকে। এসময় বার বার ফোন করার সর্তে প্রেমিক শামীম,সোনালী বেগমের ঘরে যায়,এসময়,প্রেমিক শামীমকে প্রেমিকা সোনালী দুধের সাথে কিটনাশক খায়ীয়ে শামীমকে অচেতন করে,প্রথমে কোকাকলার বোতলে পানি ভরে শামীমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থান ভাংচুর করে এবং অচেতন অবস্থায় শামীমের নিজের ঘরের রুমের শোকেজ আলমারির নিচে লুকিয়ে রেখে আশে এবং শামীমের ঘরে থাকা ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং শামীমের ব্যবহারীত একটি এন্ডোয়েট মোবাইল ফোন,নিয়ে যায় হত্যাকারী’রা বলে অভিযোগ করেন,নিহত শামীমের মা। স্থানীয় সূত্রে যানা যায়,গত ২৫ জুলাই ) সোমবার প্রতিদিনের ন্যায় শামীম হাটে যায়,হাটের কেনা বেচা শেষ করে রাতে নিজ বাড়িতে চলে আসে,এসময় প্রতিবেশি শহর আলীর স্ত্রী সোনালী বেগম,শামীমকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়,পরে শামীমকে সোনালী বেগম দুধের সাথে কিটনাশক খাওয়ালে,শামীমের দুচোখ বন্ধ হয়ে আসে এসময় সোনালী বেগম তার স্বামী শহর আলী ও শহর আলীর ভাই সামসু সিকদার শামীমের বোগলের তলদিয়ে ধরে উচু করে,পরে আর কিছু মনে নাই অসহায় ভুক্তভোগী শামীমের বলে মৃত্যুর আগে ক্যামেরার সামনে স্বাক্ষাৎকার দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন নিহত শামীম,যার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহীত রয়েছে। বাকসাডাঙ্গা গ্রামের স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি জানান,শহর আলী’র স্ত্রী সোনালী বেগম’স্বামী শহর আলী মালয়শিয়া যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ছেলেদের নিয়ে বাড়ির বাইরে রাত্রীযাঁপন করে এবং নিজের ঘরে বাইরের ছেলেদের সাথে অপকর্ম করে রাত কাটাই কিন্তু এসব যেনেও স্বামী শহর আলী তার স্ত্রী সোনালীকে কিছুই বলে না এজন্যই স্ত্রী সোনালী’র টাকার প্রতি চাহীদা বেড়ে যায় ও কাউকে সন্মান করতো না এবং সোনালীর স্বামী শহর আলী গত ১ মাস আগে মালয়শিয়া থেকে ৩ মাসের ছুটিতে দেশের বাড়িতে আসেন এবং স্ত্রী’র অপকর্মের প্রমান পেয়ে সন্ধেহ করে। প্রতিবেশি শামীমকে পরকীয়ার বলির পাঠা বানিয়ে,স্ত্রীকে দিয়ে রাতের বেলায় প্রতিবেশি শামীমকে ডেকে এনে দুধের সাথে কিটনাশক খায়ীয়ে অচেতন করে এবং কোকাকলার বোতলে পানি ভরে শামীমকে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে গুরুতর আহত করে,পরে শামীম মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লে মধ্য রাতে শামীমের নিজ ঘরের শোকেজ আলমারির নিচে গোপনে শামীমকে মৃত অবস্থায় রেখে আসে ন্যাংটা করে,এ ৩ হত্যাকারী’রা বলে মৃত্যুর আগে শামীমের মা,বড় ভাই,স্বজনদের ও পুলিশ প্রশাসনকে জানান,মৃত শামীম। স্থানীয়’রা আরো জানান,শামীম একজন ভালো ছেলে এবং শান্ত সভাবের ছেলে,এর সাথে টাকার জন্য এমন জঘন্য কাজ করা উচিৎ হয়নি,শামীমের সোনালীর সাথে পরকীয়া থাকলেও শামীমকে এ ভাবে কিটনাশক খায়ীয়ে হত্যা করা উচিৎ হয়নি,গ্রামে বা তার গার্জিয়ান ছিলো তাদের কাছে বিচার দেয়া উচিৎ ছিলো,যদি আদো শামীম অপরাধী হয়ে থাকে কিন্তু তাকে জীবনের তরে শেষ করে দেয়া উচিৎ হয়নি বলেও জানান। অসুস্থ অবস্থায় শামীম বমি করলে শামীমের বড় ভাই এর হাতে বমি লাগলে তার হাতে ঠুসা পড়ে যান বমি’র স্থানে এবং শামীমের বড় ভাই বলেন,আমার ভাডিকে এ্যাসিড খায়ীয়ে পরিকল্পিত হত্যা করেছে সোনালী,সোনালীর স্বামী শহর আলী এবং শহর আলীর ভাই বলেও জানান। এ ঘটনার পরে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে অভিযুক্ত মহিলা সোনালী কে আটক করে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং ঘটনা স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানান। এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মহিলা সোনালী বেগমকে আটক করেছে এবং বাকি সোনালী বেগমের স্বামী,শহর আলী ও ভাই পলাতক আছে। এ হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।