নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সোনাইমুড়ী থানা অফিস কক্ষে জেলা গোয়েন্দা শাখার বিশেষ অভিযানে সোনাইমুড়ী থানা এলাকা হতে কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় ৩ সদস্য গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্বার নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন মোঃ শহীদুল ইসলাম (পিপিএম) পুলিশ সুপার নোয়াখালী, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
ঘটনার বর্ণনা মতে, মঙ্গলবার ২ আগস্ট পুলিশ সুপার নোয়াখালী মোঃ শহিদুল ইসলাম (পিপিএম) এর নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, নোয়াখালী মোঃ সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেনের নেতৃত্বে এসআই তানভীরুল হক চৌধুরী, এসআই মোঃ আসাদুজ্জামান ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ সোনাইমুড়ী থানা এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে আসামী ফাহাদ হোসেন (১৯), পিতা-রফিক উল্যা, নাহিদ (১৯), পিতা-শারাফত হোসেন এবং আজিম (২০), পিতা-সারাফত, সর্ব সাং-পূর্ব কালুয়াই, ০৮ নং ওয়ার্ড, ০২ নং নদোনা ইউপি, থানা-সোনাইমুড়ী, জেলা-নোয়াখালীদের গ্রেফতার করত আসামী ফাহাত হোসেন এর দেহ তল্লাশী করে তার ডান হাতে থাকা একটি সাদা রংয়ের শপিং ব্যাগের একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান উদ্ধার পূর্বক মঙ্গলবার ২ আগস্ট সাড়ে ১২ টার সময় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করি। পরবর্তীতে আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী আজিম জানায় যে, তাহার বসত বাড়ীর রান্না ঘরের মাচার উপর একটি দেশীয় তৈরী লোহার পাইপগান রক্ষিত আছে।
পরবর্তীতে তাহার কথিত মতে তাহার রান্না ঘরের মাচা হইতে তাহার দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান একই তারিখ ১৩ টার সময় উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার কৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ অস্ত্র কেনা বেচা করিয়া আসিতেছে এবং অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ২ আগস্ট সাড়ে ১২ টার সময় অস্ত্র কেনা বেচাকালে ডিবি পুলিশ কর্তৃক আসামীদেরকে আটক করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।