নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস) এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং দৈনিক মুক্তি পত্রিকার সম্পাদক নূর আলমগীর অনুকে ফোন করে কালীগঞ্জ থানায় ওসি কর্তৃক চায়ের দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে।
সাংবাদিক নূর আলমগীর অনুর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জানান, আজ ৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার ওসির মোবাইল থেকে সাংবাদিক নূর আলমগীর অনুকে ফোন করে থানায় যেতে বলেন চা খাওয়ার জন্য। সেখানে গেলেই আজকেই রেকর্ড করা মিথ্যা সাজানো মামলা দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
এখবর পেয়ে তিনি দেখতে গেলেও ওসি কোনো সদুত্তর দেননি। তিনি ফোন দিলেও কথা না বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন রেখে দেন। এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বারবার ফোন দিলেও ধরেননি।
জানা গেছে, সাংবাদিক নূর আলমগীর অনুর সাথে তার আপন ফুফুদের সাথে পারিবারিক জমজমা সংক্রান্ত বিবাদ চলে আসছিলো। মামলার রায়ও যায় সাংবাদিক অনুদের পক্ষে।
অথচ, তার ফুপাতো বোন তামান্না শিরিন বাদী হয়ে একটি মামলা আজই রেকর্ড দেখিয়ে সাংবাদিক নূর আলমগীর অনুকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে তড়িঘড়ি করে।
উক্ত দেখানো মামলার না হয়েছে তদন্ত বা না হয়েছে নোটিশ প্রদান। ওসির মোবাইলে ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নূর আলমগীর অনু মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে সরব ভূমিকায় ছিলেন বলে জানা গেছে।
তিনি মিথ্যা মামলা ও সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন বহুবার। আজ তিনি নিজেই মিথ্যা সাজানো মামলায় জেলহাজতে।
এব্যাপার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক নূর আলমগীর অনুর মুক্তি দাবী করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি বিএমএসএস এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মল্লিক, মহাসচিব মো: সুমন সরদার সহ সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে, ক্ষোভে ফেটে পড়েছে লালমনিরহাট সহ সারাদেশের সাংবাদিকরা।
সাংবাদিক অনুর মুক্তির দাবীতে এবং ওই ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে সারাদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচীর হুশিয়ারি দিয়েছে বিএমএসএস সহ সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলো।