মমিনুলের বিষয়ে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলাম: মেয়র খোকন

অপরাধ এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে গণমাধ্যমে নাম আসা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েও অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘ওই কাউন্সিলরের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দুই মাস আগে চিঠি পাঠানো হলে কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি।
সোমবার নগর ভবনে ডেনিস রাষ্ট্রদূত উইনি পিটারসেনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।
গত বুধবার র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাব, মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ সিলগালা করে দেয়।
অভিযানের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনোর মালিক হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাওসার মোল্লা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। অভিযানের খবর পাওয়া পর দুজনই পালাতক আছেন। তার মধ্যে কাউন্সিলর সাঈদ সিঙ্গাপুরে আছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসে।
কাউন্সিলর মমিনুল হকের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘ওই কাউন্সিলরের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দুই মাস আগে পত্র পাঠিয়েছি কিন্তু এর কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চলমান শুদ্ধি অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে এর সফল পরিসমাপ্তি প্রত্যাশা করেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশবাসী এই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছেন। অভিযানের সফল পরিসমাপ্তি ঘটবে বলে আমি আশা করি।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে মদ জুয়া খেলা এসব অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি ক্লাবগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম এবং এ বিষয়ে প্রচারণা চালাই। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এবার কাজ হয়েছে।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিতব্য সি-ফরটি সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নগর ভবনে যান ডেনিস রাষ্ট্রদূত উইনি পিটারসেন। বিশ্বের ৪০ বড় শহরের মেয়ররা সম্মেলনে অংশ নেবেন। বৈঠকে উভয় শহরের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাসযোগ্যতা এবং হ্যাপি ইনডেক্সে কোপেনহেগেন শহরের অবস্থান শীর্ষে উল্লেখ করে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘জলবায়ু, প্রযুক্তি, কালচারসহ নানা বিষয়ে শেয়ারিং এর মাধ্যমে নিজ নিজ শহরকে কিভাবে আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা যায় এ সম্মেলনের মাধ্যমে সে অভিজ্ঞতা শেয়ারিং হবে।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *